জানি, আঙুল ছুঁয়ে তুমি যদি জীয়ন কাঠির স্পর্শ দাও, আমার সব ক্ষয় অক্ষয় হবে। অমৃতের পুত্র আমি পঞ্চম, ক্ষয়ের আনন্দে চাইনা অমরত্ব। দেহধাম ছেড়ে পাবো হয়তো স্বর্গ বা নরক; হাহ হাহ হাহ: দেখো! মহাকাশ ডেকেছে লং-মার্চ, কেনা-বেচার ধরাধামে আমি আজন্ম এক ফুটপাথ। লোকশিল্প বা মৃৎ শিল্পের কারিগর ই মাটির মতো কবিতা লিখবে এমন তো নয়। কারন তারা মাটির খুব একটা বাছ বিচার করে না, কিছু গড়তে পারার মতো হলেই হলো। কবিতা কি তেমন? যেমন চোখ বন্ধ করলেই অন্ধকার হয় সাময়িক, সে অন্ধকারও আজকাল কেউ কেউ উল্টে নেয়, ঘরছাড়া হয় ফেলে রেখে যায় চেনা বিছানা, ভোর সাড়ে তিনটের দিকে বিষ ঠান্ডা জলে চান করে, সাইকেলে পেডাল মেরে চলে যায় ইশটিশানে, যেখানে ভেজা তেরপল ঝুলে থাকে লরির ওপর। ঢেকে রাখা শষ্য ত্রিভুজ, এমনটিও ত্রিভুজ প্রেমের মানুষ হয় আর বেড়ে যায় নাগরিক খোঁজাখুজি যেন অতল ফেসবুকের উপাখ্যান। তেমন করে কি তবে কবিতার মতো তোমার মুখের হাসিও বদলে যায় রোজ? তবে যে লিখতে বসে আবিষ্কার করি মাটির কবিতা ছেড়ে গেছে, মাটির রস শুষে নিয়েছে শিকড়, ছিবড়ে আমি পড়ে আছি অবহেলায় পথের ধুল। কবিতারা আজ বাস করে অন্য গ্রাম-শহরে, বাসস্ট্যান্ডের সংলগ্ন বাজারে অথবা ডাক্তারখানার কাঠের বেঞ্চিতে, ঝিমানো ভর সন্ধ্যাবেলায় শাখের উলু ধ্বনিতে..... আমি তবে কোথায়? এখনও রুগ্ন দিনের অসতর্কে গুমরে ওঠে ঝড়, শব্দের মাঝে যা বলা আজ নিষেধ, সেকথার হয়ে রইলাম সওদাগর, ভাটির ভাসান মাঝি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।