falgun নিজের বয়স চুরির ঘটনা ফাঁস করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া মমতার লেখা ‘মাই আনফরগেটেবল মেমোরিস’ স্মৃতিগ্রন্থে এ তথ্য ফাঁস করেন তিনি। বইটির প্রকাশক রোলি বুকস। ওই গ্রন্থে তিনি দাবি করেন, তাঁর মূল বয়স সনদে লেখা বয়সের চেয়ে পাঁচ বছর কম।
বয়স কম হওয়ায় ছোটবেলায় স্কুলের সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অযোগ্য বিবেচিত হন মমতা।
মমতাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে তাঁর বাবা ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করেন। সেই সনদে মমতার বয়স পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
ওই গ্রন্থে মমতা বলেন, ‘আমার বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগেই আমি স্কুলের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করি। কিন্তু বয়স কম হওয়ার কারণে আমি অযোগ্য বিবেচিত হই। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আমার বাবা আমার জন্মতারিখ ও সাল পরিবর্তন করেন।
এর ফলাফল ছিল, আমার নতুন জন্মতারিখ এবং আমার বয়স মূল বয়স থেকে পাঁচ বছর বেড়ে যাওয়া। ’
মমতা তাঁর জন্মদিন কীভাবে উদযাপন করতেন, সে বিষয়ে বইয়ে তিনি লিখেছেন, তাঁর মা প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমীতে তাঁর জন্মদিন পালন করতেন। ওইদিন চালের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত করা হতো তাদের বাড়িতে। এ ভুল জন্মসনদের জন্য মায়ের কাছে অভিযোগ জানাতেন মমতা। কিন্তু তাঁর মায়ের উত্তর ছিল ‘সোনা, আমরা তো শহরের বাসিন্দা নই।
তুমি ও তোমার ভাই কেউ হাসপাতালে জন্মাওনি। আমি কীভাবে তোমার জন্মসালের বিস্তারিত বিবরণ জানব?’ কিন্তু একসময় মমতার মা তাঁকে একটি পঞ্জিকা কিনে দিলে তিনি তাঁর জন্মসালের ব্যাপারটি জানতে পারেন।
যদিও তাঁর জন্মসনদের বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত কিন্তু এটি নিয়ে সমস্যায়ও পড়তে হয়েছে তাঁকে। ১৯৮৪ সালে লোকসভার সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকেই তাঁকে ৫ জানুয়ারিতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই। ব্যাপারটি পছন্দ করতে পারছেন না তিনি।
এমনকি লোকসভার ওয়েবসাইটে তাঁর জন্মতারিখ দেখানো হচ্ছে ৫ জানুয়ারি ১৯৫৫। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য গত বছর লোকসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন মমতা। অত্যন্ত আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমার ভুল জন্মসনদকেই বৈধ জন্মসাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ’
এমনকি বড় ভাইয়ের কাছ থেকেও মাঝেমধ্যে টিটকারি শুনতে হয় মমতাকে। বড় ভাই তাঁকে এই বলে খেপান, ‘তিনি (মমতা) তাঁর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে মাত্র ছয় মাসের ছোট।
’
বয়সের বিষয়টি ছাড়াও এই বইয়ে মমতা তাঁর ছোটবেলার ছবি ও মানুষের কাছে অজানা ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেছেন। এনডিটিভি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।