আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'আবেগ পুঁজি করে ব্যবসা'। সাবধান থাকুন

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....। সাধারণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে ব্রাজধানীতে যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ঢাকার সমৃদ্ধশালী এলাকা হিসেবে খ্যাত (গুলশান, বনানী, পান্থপথ, এলিফ্যান্ড রোড, ধানমন্ডি প্রভৃতি) স্থানগুলোতেই কেবল এদের দেখা যায়। কোনো পুঁজি নেই।

শুধুমাত্র আবেগকে পরাজিত করতে পারা। তাহলেই টাকা। মানে লাভ আর লাভ। আর এদের প্রধান টার্গেট থাকে শিশু সহ মহিলা, অফিসিয়াল পুরুষ এবং স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি। এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, বসুন্ধরা শপিং মলের সামনে এবং গেইটে।

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কাউকে সাহায্য করছে বলে বাক্সে টাকা তুলছেন। এদের দেখে মাঝে মধ্যে এতো মায়া হয়, রোগী ব্যক্তিটির কথাও আমরা আর ভাবি না। পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দেই। একটু ভেবে দেখেন আপনিও হয়তো কোনো মুমুর্ষ রোগীর চিকিৎসার জন্য বাক্স হাতে এগিয়ে আসা কাউকে দিয়েছেন ১০ টাকা, ২০ টাকা। কখনো কখনো ৫০ টাকা।

আবার ৫০০, ১০০০ টাকা দেয়ার মতো ঘটণাও ঘটেছে কারো কারো সঙ্গে। কিন্তু এই টাকা আসলে কে পেল? একটু ভেবে দেখেন। আজ প্রতারণামূলকভাবে বাক্সের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ রোগীর ছবি লাগিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মূলহোতাসহ ৬ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো, প্রতারক চক্রের মূলহোতা শামসুল আরেফিন রানা (২৪), ইব্রাহীম খলিল ফয়সাল (১৮), মো. খোরশেদ কামাল উজ্জ্বল (১৯) ও মো. রেজওয়ান হোসেন (১৮)। তাদেরকে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং মলের সামনে থেকে, রূপসী বাংলা হোটেল মোড় ও বাংলামোটর মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি টাকা উত্তোলনের বাক্সও উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি’র লালবাগ বিভাগের এসি মো. হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের সদস্যরা দীর্ঘ দিনযাবত বিভিন্ন গুরুতর অসুস্থ রোগীর ছবি বাক্সের চারদিকে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে আবেগতাড়িত করে সাহায্যের নামে টাকা উত্তোলন করে আসছে। ওই উত্তোলনকৃত টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করে আসছিলো। এ চক্রের মূলহোতা শামসুল আরেফিন রানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা রাজধানীর ১৯টি পয়েন্টে এরকম একাধিক দল প্রতারণামূলকভাবে টাকা উত্তোলন করে আসছে। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে আনা হবে এবং এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

সুতরাং একটু সাবধান থাকুন। দান আমরা অনেকেই করি। কিন্তু সেই দান করতে গীয়ে প্রতারিত হতে নিশ্চয়ই আমরা কেউ চাইবো না? বি:দ্র: এদের মধ্যে সবাই প্রতারক আমি বলছি না। তবে টাকা দেয়ার আগে যাচাই করতে তো দোষ নেই?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.