গ্যাসের সমস্যা অস্বস্থিকর,বিব্রতকর এবং অনেক ক্ষেত্রেই যন্ত্রণাদায়ক। আমাদের দৈনিক খাবার ও পাণীয় পেটে গ্যাস তৈরীতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এখন দেখা যাক কিভাবে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি!
১.প্রথমে আপনাকে খুজে বের করতে হবে ঠিক কোন খাবারে আপনার গ্যাস হয়। (এর জন্য আপনি দৈনিক কি কি খাবার খাচ্ছেন তা লিখে রাখুন,যেদিন পেটে অস্বস্থি অনুভূত হবে সেদিন তালিকায় দেখুন যে কোন খাবার নতুন যোগ হয়েছে। এক সপ্তাহ সেই খাবার বাদ রাখুন, এর পর আবার খেয়ে দেখুন।
যদি সমস্যা হয় তবে বুঝতে হবে এটাই ট্রিগার ফুড)। গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন। তবে আপনার ডায়েটিশিয়ানের সাথে আলাপ করে জেনে নিন বাদ দেয়া খাবারের পরিবর্তে আপনি অন্য কি খাবেন,যেন পুষ্টি ঘাটতি না হয়।
২.ননীবিহীন দুধ,কমলার রস, সবুজ চা, চাল,চালের গুড়ার কেক,চর্বি ছাড়া মাংস, মুরগী আপনার খাবার তালিকায় যোগ করুন।
৩. যাদের আশযুক্ত সবজিতে গ্যাস হয়, তারা সবজি ভাপিয়ে বা সিদ্ধ করে খাবেন।
৪. খাবার ধীরে ও আস্তে আস্তে চিবিয়ে খাবেন । এতে মুখ দিয়ে কম পরিমান বাতাস পেটে ঢুকবে।
৫.খাওয়ার পর সামান্য হাটাহাটি করবেন। এতে পেটের গ্যাস আপনার সিষ্টেমের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে।
৬. প্রচুর তরল খেতে হবে।
তরল হজমে সাহায্য করে। পানির পাশাপাশি ফলের রস, ক্লীয়ার সুপ খেতে পারেন।
৭.ইসুবগুল সকালে খালি পেটে খাবেন। (১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ইসুবগুল)
৮.খাবার পরিবর্তনের পরও যদি আপনার সমস্যার সমাধান না হয়, তবে আপনার ডাক্তার ও ডায়েটিশিয়ানের সাথে আলাপ করুন।
৯.মনে রাখুন:একেক জনের একেক খাবারে গ্যাস হয়,এবং এই টিপসের ফলাফলও ব্যক্তিবিষেশে ভিন্ন হতে পারে।
যা আপনাকে বাদ দিতে হবে:
১.ধূমপান
২.এলকোহল ও সোডা
৩.শক্ত ক্যান্ডি চিবানো
৪.চুইং গাম চিবানো
৫.কোমল পাণীয়
ছবিসূত্র:ইন্টারনেট ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।