ঢাকা, রোববার, ২২ জানুয়ারি ২০১২, ৯ মাঘ ১৪১৮, ২৭ সফর ১৪৩৩
শিরোনাম:
হোম বিশাল বাংলা টেকনাফের সেই বিহার পরিদর্শন করল সুশীল সমাজ
টেকনাফের সেই বিহার পরিদর্শন করল সুশীল সমাজ
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি | তারিখ: ২২-০১-২০১২
কক্সবাজারের টেকনাফে অবৈধভাবে দখল করা সেই বৌদ্ধবিহারটি গতকাল শনিবার সুশীল সমাজের একটি প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা হ্নীলা সেন প্রু ক্যাং নামের বিহারটির জমি দখল ও অবকাঠামোর অংশবিশেষ লুটপাট করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দলটি বিহার এলাকা থেকে চলে আসার কিছুক্ষণ পরে সেখানে ১০-১৫টি গুলিবষর্ণের শব্দ শোনা যায়।
গতকাল প্রথম আলোয় ‘আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বৌদ্ধবিহার দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরই প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে যায়।
গণঐক্য কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও চলচ্চিত্রনির্মাতা রাশেদ রায়েনসহ ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রতিনিধিদলে ছিলেন। তাঁরা তক্তা, সিঁড়ি ও কাঠের পিলার খুলে নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ২০০ বছরের পুরোনো বিহারের করুণ দশা দেখে বিস্মিত হন। প্রতিনিধিদলটি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশে টেকনাফ ত্যাগ করেন। আজ রোববার এ ব্যাপারে তাঁদের কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক করার কথা।
এলাকাবাসী জানান, বিহার এলাকার আশপাশের জমি সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যাপক মো. আলী লিজ নিয়েছেন বলে শুনেছেন তাঁরা।
এর পরে তিনি ওই এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা রোপণ করেছেন। এরপর থেকে জায়গাটি সাংসদপুত্র রাশেদ মো. আলীর দখলে রয়েছে।
বিহার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্য জ অং প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিনিধিদলটি বিহার এলাকা পরিদর্শন শেষের কিছুক্ষণ পরে এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই এলাকায় ১০-১৫টি গুলিবর্ষণ করে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, বিহারটি রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। বিহারটি লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য প্রথম আলোকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা রক্ষা করার জন্য ঢাকা গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।