লালমনিরহাটের পাটগ্রামে এক হিন্দু পরিবারের জমি দখলকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
আজ একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
এই আদেশ বাস্তবায়ন করে সাত দিনের মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন বিচারক।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।
উল্লেখ্য, ‘হিন্দু’জ ল্যান্ড গ্র্যাবড বাই এএল লিডার’ শিরোনামে গত ২ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ গত মঙ্গলবার এই রিট আবেদন জমা দেন। রিটে বাদি হিসাবে রয়েছেন সংগঠটির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাটগ্রাম উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বউরা ইনিয়নের বাসিন্দা ভবানীকান্ত সিংহ ও তার দুই ছেলেকে জোর করে ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের বাসায় নিয়ে গিয়ে দলিলে সই নেয়া হয়। দলিলে বলা হয়, ভবানীকান্ত বউরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মিরনকে ৩২ ডেসিমাল জমি হস্তান্তর করছেন।
এরপর ভবানীকান্ত থানায় মামলা করেন।
অন্যদিকে রবিউল ওই জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
রসুলপুরে ‘ভূমি দখলকারীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে ‘বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ওই এলাকার হিন্দু নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছে আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রংপুর বিভাগের উপমহাপরিদর্শক, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার, পাটগ্রাম থানার ওসি এবং আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম মিরন ও নজরুল ইসলামকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।