সাদামনের মানুষ আমি : প্রথমতো সবকিছু সন্দুররূপেই দেখতে চাই... সব পত্রিকাই ধর্ষনের সংবাদ ছাপায় মোটামুটি একইভাবে; ধর্ষণের সংবাদে তথ্যগুলো যে ভাবে থাকে, তার সাথে নিচের তালিকাটি মিলিয়ে নেয়া যায় : ১. ধর্ষিতার পরিচয়- নাম, পিতার নাম, গ্রামের নাম, হিন্দু না মুসলমান ইত্যাদি ২. বয়স- কিশোরী, নাবালিকা, যুবতী, বৃদ্ধা ইত্যাদি ৩. কিভাবে- প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে, পালাক্রমে, সংঘবদ্ধ, উপুর্যপুরী, অস্ত্রের মুখে ইত্যাদি ৪. কোথায়- পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে, নিজের ঘরে, গোয়াল ঘরে, কর্মক্ষেত্রে, মসজিদে, স্কুলে ইত্যাদি ৫. ধর্ষিতার সাথে ধর্ষকের সম্পর্ক- পিতা, ভাই, চাচা, খালু, মামা, শিক্ষক, মাদ্রাসার হুজুর ইত্যাদি ৬. সর্বশেষ তথ্য- উদ্ধার করার সময় সে অজ্ঞান ছিলো আর তার গোপনাংগ দিয়ে রক্ত ঝরছিলো দুঃখজনক হলেও এসব সত্যি; আর তার কারণ পত্রিকার কনজ্যুমার হচ্ছেন একজন পুরুষ; যে পুরুষ এই সংবাদ পড়বে ও পড়ার সময়ও সে যেনো একটু বিনোদন পায়, একটু ধর্ষণ করার পরোক্ষ আনন্দটুকু পায়, দোষ কি তাতে; পত্রিকার বিক্রি তো বাড়লো!! অন্যদিকে ধর্ষকের নাম নিশানা থাকে না কোথাও; বড়োজোর লেখা থাকে অমুক গ্রামের তমুক, বয়েস এতো; এর কারণ যে পাঠক, সেই তো ধর্ষক; আমাদের সমাজেরই একজন; আমি কিংবা আপনি; বেশী ডিটেল লিখলে তো সবাই চিনে ফেলবে কার ভাই, কার চাচা, কার বাবা, কার মামা, কার মালিক যদি সংবাদে ধর্ষিতার ডিটেল না দিয়ে ধর্ষকের ডিটেল দেয়া হতো তাহলে সমাজবিজ্ঞানী লাগে না, সাধারণ মানুষ ১ বছরের পত্রিকা ঘেটে বের করে ফেলতে পারতো বুয়েটের ছেলেরা নাকি ঢাকা ইউনিভারসিটির ছেলেরা, বিবাহিতরা নাকি অবিবাহিতরা, বাবারা নাকি ভাইয়েরা, চাকুরীজীবীরা না ব্যবসায়ী, গরিব না বড়লোক কোন পুরুষরা বেশী ধর্ষণ করে...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।