আখেরি মোমাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ৪৭তম বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব।
টঙ্গীর তুরাগ তীর আলস্নাহু আল্লাহু ধ্বনিতে মুখরিত। আল্লাহর দিদার লাভের জন্য লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কণ্ঠে এ ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে দিন-রাত।
কহর দরিয়া খ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পবের্র তৃতীয় দিনে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। মুসল্লিদের এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় দিন পার হয়েছে।
কানায় কানায় ভরে গেছে পুরো ইজতেমা মাঠ। ইজতেমা দু’পর্বে ভাগ করা হলেও মুসল্লিদের সংখ্যায় যেন কোনো কমতি নেই। এখনও চারদিক থেকে আসছে মুসল্লিরা। মূল প্যান্ডেলে স্থান না পেয়ে অনেক মুসুল্লি নিজ উদ্যোগেই প্যান্ডেলের বাইরে পলিথিন সিট ও কাপড়ের সামিয়ানা টানিয়ে তাতে অবস্থান নিয়েছেন।
বিদেশী মেহমানদের জন্য স্থাপিত ক্যাম্পের পূর্বপাশে বিশেষ মঞ্চ থেকে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত হবে।
আখেরি মোনাজাতের আগে অনুষ্ঠিত হবে হেদায়তী বয়ান। হেদায়তী বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা সা'দ এবং দোয়া পরিচালনা করবেন একই দেশের তবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি মাওলানা জোবায়েরুল হাসান।
শনিবার এজতেমা ময়দানে আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে ৯ ব্যক্তির মৃত্যু হলো। বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালেই টঙ্গী শহর এবং এজতেমাস্থল ও এর আশপাশ এলাকা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব এজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসলিস্নর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। শিল্পনগরী টঙ্গী এখন যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। শনিবারও টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে মানুষ ছিল ঠাসা। আজ আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যনত্ম মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। যদিও এজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে।
মূল প্যান্ডেলে স্থান না পেয়ে অনেক মুসলিস্ন নিজ উদ্যোগেই প্যান্ডেলের বাইরে পলিথিন সিট ও কাপড়ের শামিয়ানা টানিয়ে তাতেই অবস্থান নিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন প্রকার কমতি ছিল না। ১০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী এজতেমাস্থলে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবাদত-বন্দেগি করে যাচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রতি বছরই শতাধিক যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমা ময়দানের মূল মঞ্চে বর, বর ও কনের অভিভাবকের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়ে থাকে।
এবারও তবলীগের শীর্ষ মুরবি্বরা রেডিও-টিভিতে মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচারে অনুমতি দেননি। তারপরও বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আখেরি মোনাজাত সম্প্রচার করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আমরা যারা উপস্হিত হতে পারিনি বিশেষ করে মা বোনেরা আসুন আমরা সরাসরি টেলিভিশনের মাধ্যমে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেই এবং সকলের জন্য মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া প্রাথনা করি..আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে রহমত করেন...আমীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।