আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির সমাবেশ

লাখো ধর্মপ্রাণ মুসুল্লির অংশগ্রহণে শুক্রবার বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার মূল পর্ব। বাংলার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় মূল বয়ান তরজমা করা হচ্ছে।

অবশ্য বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব থেকেই ঈমান, আমল ও আখলাকের আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বইজতেমার সূচনা ঘটেছে।

সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক ও সভাপতিত্বহীন এই বিশ্ব সম্মিলনে যোগ দিতে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ এখনো টঙ্গীর পথে। শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে গত কয়দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টঙ্গীর ময়দানে এসে ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন অনেকেই।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও মুসুল্লিদের আসা অব্যাহত রয়েছে।

রোববার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফা। চারদিন বিরতি দিয়ে আবারো ৩১ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দফা।

২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্বইজতেমার তাবলীগ সম্মেলন।

মুসল্লিদের স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে টঙ্গীতে দু’দফায় বিশ্বইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইজতেমাস্থলে বিদেশি ও সাধারণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, আনসার ও র‌্যাব সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

ইজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী মঙ্গল কামনা করে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন।

এদিকে এই সম্মিলনকে কেন্দ্র করে টঙ্গী এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তুরাগ মাঠের আশে-পাশে চলছে মুসল্লিদের অজু, গোসল আর রান্নার আয়োজন।

বিশ্বইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ১৬০ একরের সুবিশাল ময়দানের পুরোটাই চটের ছামিয়ানা টানিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।

সাধারণ মুসুল্লীদের রান্না-বান্নার স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব না হলেও মাঠের পশ্চিম-উত্তর কোণায় টিন শেডের উন্নত আবাসনে বিদেশি মুসল্লিদের রান্নার জন্য গ্যাসসহ বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ এবং আধুনিক সুবিধা রয়েছে।

এ বছর মাঠে জেলাওয়ারি মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য পুরো ময়দানকে প্রথম দফায় ৪০টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৩৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।

ইজতেমার জরুরি তথ্য জানতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেশ কিছু টেলিফোন নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম-৯৮১৩৪০১-২, পুলিশ কন্ট্রোল রুম-৯৮১৩৪০৩, পুলিশ সাব-কন্ট্রোল রুম-(১)-৯৮১৩৪০৪, পুলিশ সাব-কন্ট্রোল রুম-(২)-  ৯৮১৩৪০৫, র‌্যাব কন্ট্রোল রুম-(১) ৯৮১৫১১২, র‌্যাব সাব-কন্ট্রোল রুম-(২)-৯৮১৫১১৩, র‌্যাব সাব-কন্ট্রোল রুম-(৩)-৯৮১৫১১৪, স্বাস্থ্য বিভাগ কন্ট্রোল রুম-৯৮১৩৪০৬, ৯৮১৭৫১৪-৯৮১৭৫১৫ ও ৯৮১৭৫১৬, টঙ্গী হাসপাতাল- ৯৮০১০৭৮, গাজীপুর সিটি কন্ট্রোল রুম- ৯৮১৩৪০৭, ইজতেমা কর্তৃপক্ষ তথ্য কেন্দ্র- ৯৮১৬৩৭০-৭১, ৯৮১৬৩৭২ ও ৯৮১৬৩৭৩ ও ৯৮১৬৩৭৪, ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম- ৯৮১৬৩৬৯, বিদ্যুৎ বিভাগ-৯৮১৬৩৭৯।  

র‌্যাব-১ এর মহাপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান জানান, এবার র‌্যাব সদসস্যের সংখ্যা গতবারের চেয়েও বেশি থাকছে।

কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে তারা পুরো ইজতেমা এলাকা ও আশে-পাশে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। দু’পর্বের ইজতেমার মূল ছয়দিন র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল দিবে। খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা থাকবেন।

র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয় দলও মাঠে রয়েছে বলে জানান তিনি।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন জানান, ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব পুলিশসহ এবার ১১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ ও র‌্যাবের বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর, কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে।  

১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.