সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সংসদে আস্থা ভোট ডেকেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। সোমবার এই আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত ও সামরিক বাহিনী নিয়ে পাকিস্তান সরকার চরম বিপাকে রয়েছে। একদিকে আদালত বলছে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির মার্জনা কোনো ভাবেই করা যায় না।
অন্যদিকে সামরিক বাহিনী পাক সরকারের মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আড়ালে। এতে দেশটির মিডিয়া সামরিক ক্যু’র আশংকা করছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি দুবাই সফরে গেলে সামরিক ক্যু এর গুজব পাকিস্তানে চরম পর্যায়ে পৌঁছে। সফর সংক্ষিপ্ত করে জারদারি পাকিস্তানে ফিরে আসে।
আস্থা ভোট ডাক দেয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলছেন, দেশের সাংসদদের আজ বেছে নিতে হবে তারা কি চান।
তারা গণতান্ত্রিক সরকার চান নাকি স্বৈর-তান্ত্রিক সরকার চান, এটি বলতে হবে সবাইকে।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার একটি সময়সীমা বেধে দিয়েছিলো। সোমবারে আস্থাভোট সেই সময় সীমা অতিক্রম করেই শুরু হচ্ছে। আস্থা ভোটে গিলানি সরকার জিতে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্র বিবিসি।
খবরের লিংক এই খানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।