বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের ওপর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আস্থা নেই। তাই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে গণহারে একযোগে ছুটির আবেদন করেছেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংক ও পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে আওয়ামী লীগ। এখন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. ইউনূসকে হটিয়ে তা দখলে নিয়ে লুটপাটের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আজ রোববার বিকেলে বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা বিকল্পধারা আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি চৌধুরী এ কথা বলেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, আর শেখ হাসিনা চান তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তাঁর মন্ত্রিপরিষদ থাকবে, তাঁদের অধীনেই নির্বাচন হবে। তাঁরা গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করতে চায়। ’
সমাবেশে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ ও পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের বিরোধিতা করে বি চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশ জাপান ও জার্মানি যেখানে ভয়াবহতার কারণে পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র বাতিল করছে সেখানে বাংলাদেশ নতুন করে পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সুন্দরবনের কাছে এই তাপবিদ্যুেকন্দ্র হলে বনের ক্ষতি হবে, এটা ভারত বুঝলেও প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা তা বোঝেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মা কোনো সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করতে পারে না।
কিন্তু শেখ হাসিনাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্ম দিয়েছে আর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে হত্যা করেছে। ’ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০ থেকে ৪০টির বেশি আসন পাবে না বলে তাঁর কাছে খবর রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব বেগ মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন বিকল্পধারার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাঈদুর রহমান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, যুবধারার জেলা সভাপতি বেলাল হোসেন, মহিলা ধারার সভানেত্রী অ্যাঞ্জেল মৃধা প্রমুখ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।