"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার পাত্রীর ফ্যামিলি মূল্যবোধসম্পন্ন হৈতে হৈবো। আমাগো মত মধ্যবিত্ত পরিবারহৈতে হৈবো। পাত্রীর হাইট নূন্যতম ৫'-২" হৈলে ভালো হয়। গায়ের রঙ শ্যামল.....
পড়াশোনা তো নূন্যতম এইচএসসি পাশ হতেই হবে। ডিজুস কালচারের গুষ্ঠী কিলাই।
সব ফটকা এই ডিজুস পোলাপান! পর্দানশীন দরকার নাই। মনের পর্দা থাকলেই হৈলো। চাকুরীজীবী, স্টুডেন্ট - কোনটাতেই আপত্তি নাই। তয় নোয়াখালীর বাইরের মেয়েরা মফস্বল শহরে আসতে রাজি হবে বলে মনে হয় না। তাই নোয়াখালীর মেয়ের বিকল্প নাই।
তারপরে আবার নোয়াখালী শহরের মেয়েরাও আমারে পছন্দ করবে বৈলা মনে হয় না! তারা আবার ঢাকা শহরের প্রতিষ্ঠিত ছেলেকে পছন্দ করে। সুতরাং গ্রামের দিকেই করতে হবে মনে হয় বিয়া!
এসব কথা কে বলতে পারে এটা যে কোন পুরানো ব্লগারকে জিজ্ঞেস করলেই বলবে একথা মুকুল ভাই ছাড়া কারো পক্ষে বলা সম্ভব না। নিজের বিয়ে নিয়ে উনি খুবই হতাশ ছিলেন। উনার ধারণা ছিল উনার এ জীবনে বিয়ে ই হবে না। সুযোগ পেলেই এর ওর তার ব্লগে কমেন্টের আড্ডায় হতাশার কথা বলতে বলতে হয়তো বা কতবার নিজের চোখ মুছেছেন প্রিয় ব্লগার মুকুল ভাই তা হয়তো আমরা নিজেদের বাসায় বসে দেখতে পাইনি কিন্তু উনার দুঃখের কথা আজ ও ভুলি নি।
উনাকে চেনার আরেকটা জিনিস ছিল… উনার মাথার ঝুটিওয়ালা একটা প্রোফাইল পিকচার ছিল যা উনাকে সবার থেকে আলাদা করার জন্য যথেষ্ট ছিল। এ প্রসঙ্গে সাজি আপু একবার বলেছিলেন, বই মেলাতে ভিড়ের মাঝখানে উনি মুকুল ভাইয়ের ঝুটির পিছনে কয়েক মিনিট হেটে তারপর সামনে গিয়ে দেখলেন উনার ভুল হয় নি। সেই ঝুটিওয়ালা ই মুকুল ভাই।
মুকুল ভাই একজন কবি। উনার বই প্রকাশিত হয়েছে।
উনার কবিতা বিষয়ে আমার কথা বলা শোভা পায় না কারণ আমি কবিতার ‘ক’ ও বুঝি না।
মুকুল ভাই বেশ অভিমানী ছিলেন। একবার অভিমান করে সামু ব্লগ ছেড়ে আমুতে গেলেন আর আসলেন না। এরপর এখন মনে হয় আবুলে (আমরান্ধুব্লগ) আছেন। নাকি উনি ব্লগ ছেড়ে দিয়েছেন কে জানে!
একদিন রমজান প্রায় কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, খুব একটা খারাপ খবর আছে।
বললাম, কি?!
রমজান: মুকুল ভাইয়ের বিয়ে!!
আমি: তো? এতো খুশির খবর!
রমজান: এখন কার কান্না দেখে আমি শান্তণা খুজবো!
গতবছর সেই দুখী মুকুল ভাই বিয়ে করেছেন। মুকুল ভাই ভাল থাকুন সমসময় এই দোয়া করি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।