"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার এটিএন নিউজে সেদিন কিছু বাচ্চা ছেলে মিউজিক করে তাদের নিয়ে একটা প্রোগ্রাম হচ্ছিল। ওখানে চশমা পরা ক্লাস নাইন টেনে পড়া একটা বালককে দেখাচ্ছিল। বালক তার মিউজিক এবং ব্যক্তিগত কথা বলছিল। এর মধ্যে তার কাছে বন্ধু বান্ধবী, প্রেম ভালবাসা নিয়ে ও কথা ছিল। ছেলেটাকে যতই দেখছিলাম যেন ২০০৭ সালে ক্লাস এইট নাইনে পড়া ছোট্ট ব্লগার তাজুল ইসলাম মুন্না র কথা মনে পড়ছিল।
এই তো সেদিনের কথা মুন্না একটা কাশি দিলেও ব্লগে এসে দিতো। এটা কেন হল, ওটা কিভাবে ঠিক করে, ভাই আমি বিপদে আমাকে বাচান, কিভাবে পেনড্রাইভ থেকে কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে, কিংবা গার্লফ্রেন্ডজনিত সমস্যা অথবা বাবলী , মুন্নার রাশভারী জোক সসমগ্র অথবা মুন্নার প্রোফাইল পিকচার সবই ছিল খুবই বিনোদনমূলক।
একবার মুন্না প্রোফাইলে গোলাপ ফুলের ছবি লাগালো, তাকে এটা নিয়ে আমরা সবাই ক্ষ্যাপাতে শুরু করলাম। তার নাম দিলাম গুলাব ই মুন্না। মুন্না একটু লজ্জিত হয়ে একটা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছবি লাগালো, এরপর মুন্নার নাম হল মুন্না কেন মান্না।
প্রোফাইলের ছবি পরিবর্তন করলেও মুন্না একটা পোস্ট অবশ্যই দিতো যে সে প্রোফাইল পিক চেঞ্জ করছে!
বাবলী কাহিনী যারা জানেনা তারা ব্লগের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জানে না। মুন্নাকে মিথ্যা প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বাবলী নামের এক বহুরুপী কত বিরক্ত করেছে একসময় মুন্নাকে! তবু মুন্না সব হাসের মত ঝেড়ে ফেলে ব্লগিং করে গেছে!
মাঝখানে অনেকদিন পার হয়ে গেল, ছোট্ট মুন্না এখন কলেজে পড়ে, আজ বাদে কাল ইউনিভার্সিটিতে উঠবে। কিন্তু আমরা ওইসময়ে যারা ছিলাম তাদের কাছে মুন্না যেন সেই ছো্ট্ট আদরের মুন্না ই রয়ে যাবে।
পরের পর্বে থাকবে ফিউশন ফাইভের ৫০হাজার টাকার কান্নার কাহিনী!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।