"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার প্রলয় ভাইয়ার প্রথম নিক ছিল কতবতবকতকত । কথা নেই বার্তা নেই নতুন নিকে এসে একটা খোচা দেয়া ছিল প্রলয় ভাইয়ার শখ। এভাবেই উনার সাথে আমার খাতির জমার আগেই ক্যাচাল বেধে গিয়েছিল। প্রলয় ভাইয়ার সাথে যদি আমার কোন বন্ধুবান্ধব কথা বলতো তাহলেও আমার প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হতো! কতজনের সাথে ঝগড়া করেছি, কেন তুমি প্রলয়ের মত একটা বেহায়া/ অসভ্য/ বদমাইশের সাথে কথা বলো!
সিনেমা স্টাইলে কতবার বলেছি, আজ তোমাকে বেছে নিতে হবে হয় আমি না হয় তোমার প্রলয়!
আজ এসব ভাবলে হাসি ই পায়!
প্রলয় শুধু আমার সাথে না ব্লগে আরো অনেকের সাথেই ক্যাচাল করছিলো। ক্যাচাল করতে প্রলয় ইরাবতী নামে একটা নিক খুলেছিল যেটাকে সে তার কাজিন বলে দাবী করতো।
ইরাবতী এসে কয়দিন কালপুরুষ দার পোস্টে ঘুরঘুর করা শুরু করলো, আন্তরিকতা দেখাতে গিয়ে ইরাবতীকে নিয়ে কালপুরুষ দা একটা কবিতা লিখলো! আর যায় কই! কালপুরুষ দার চরিত্র ধরে টানাটানি শুরু করলো তখন প্রলয় আর ইরাবতী।
ঘটনা এইখানে শেষ হতে পারতো, কিন্তু নামের কারণে বা উপরওয়ালার ইচ্ছায়ই হয়তো কালপুরুষ দার কাছে মাফ চেয়ে ইরাবতী একদিন পোস্ট দিল। তখনই কাহিনী শুরু হল। প্রলয় ইরাবতীকে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবী করলো, ইরাবতী প্রলয়কে নিচ মানসিকতার দাবী করলো আর জনতা ২জনকেই মানসিকভাবে অসুস্থ দাবী করলো!
এরই মাঝে প্রলয় দাবি করলো, তার নিক হ্যাক হয়ে গেছে এবং এই হীন কাজটি করেছে ব্লগার কামাল ভাই ওরফে শমসের আলম। প্রলয় তাকে একটা নিক ধার দিয়েছিল আর শমসের ভাই প্রলয় এক টিন নিক হ্যাক করে নিয়েছে।
আর এঘটনারই প্রতিফলন হয়তো ছিল ইরাবতীর মাফ চাওয়া পোস্ট।
সে দফায় প্রলয়কে কম বেশি সবাই লাথিগুতা মারলেও প্রলয় কোনকিছু গায়ে না লাগিয়েই নতুন নতুন ক্যাচাল বাধিয়ে যাচ্ছিল।
প্রলয় ভাইয়ার একটি প্রিয় লেখা ছিল মায়াবতী...so what বলার মুদ্রাদোষটা কি এখনো আছে তোমার?
মায়াবতী...so what বলার মুদ্রাদোষটা কি এখনো আছে তোমার? (শেষাংশ)
এভাবেই ভালভাবে কেটে যাচ্ছিল প্রলয় ভাইয়ার সময়। এরই মাঝে ব্লগে আবির্ভাব হল টিয়া র। টিয়া তার মায়াজালে কিভাবে কিভাবে জড়িয়ে ফেললো প্রলয়কে তা প্রলয় নিজেও বুঝলো না।
প্রলয় টিয়ার প্রেম যখন তুমি ছাড়া এ জীবন আমি রাখবো না পর্যায়ে তখন এক সন্ধ্যায় টিয়া প্রলয় হাসানের মুখোশ উন্মোচন করলো। ব্লগে এসে সে কিভাবে প্রলয়ের মত একজন ভন্ড, প্রতারকের পাল্লায় পড়লো সমস্ত ঘটনা লিখলো সাথে প্রলয় হাসানের ছবি, তাদের ইয়াহু চ্যাটের স্ক্রিনশট। টিয়ার পোস্টে দেবার ক্ষআগে কেউ কখনো্ প্রলয়ের ছবি দেখে নি!
প্রলয় পোস্টটি পাবলিশ করার পরপরই ব্লগ থেকে লগআউট করলো। কয়েকদিন পর নতুন আরেকটা কাহিনী নিয়ে ফিরে আসলো কিন্তু তখন কেউ তার কথা শুনলো না।
এই ঘটনার পর থেকে প্রলয় ভাইয়া আর ব্লগে রেগুলার হয় নি! ব্লগ থেকে উনি বিদায় নেবার পর টের পেলাম আসলে উনি কত বড় বিনোদন ছিলেন
স্ক্রিনশট কাহিনীর কোন লিংক দিতে পারলাম না! পাষন্ড সামু কর্তৃপক্ষ সব মুছে দিয়েছে।
আছে শুধু ফিফার ২টি রিভিউ পোস্ট!
ব্লগে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা তুলে দেওয়া কি ঠিক?
প্রলয়-টিয়া জটিলতা : সর্বশেষ কিছু পর্যবেক্ষণ
মাঝে উনি কিছুদিন শুনেছি সিনথিয়া জামান নামে একটা লেডিস নিকে কিছুদিন ব্লগিং করেছেন। কিন্তু আগের মত আর সেইদিন লাফালাফি করতে পারেন নি! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।