মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে অ্যামেরিকার চেয়ে অনেক দিক দিয়েই এখন শীর্ষে চীন৷ এখন তারা চাইছে মহাকাশ গবেষণায়ও এগিয়ে যেতে৷ তবে ঐতিহাসিকভাবে এক্ষেত্রে সবার উপরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রকে টপকাতে প্রয়োজন বৃহৎ পরিকল্পনা৷ সেটাই করছে চীন৷ দুই হাজার সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত মহাকাশের উপর তিনটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে চীন৷ এর শেষটি প্রকাশিত হলো গত সপ্তাহে৷ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আগামীতে তারা চাঁদে নভোচারী পাঠাতে চায়৷ এজন্য অচিরেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ তবে চাঁদে রোবট পাঠিয়ে গবেষণার কাজ ইতিমধ্যেই করছে চীন৷ যে প্রকল্পের আওতায় এই কাজ চলছে তার নাম ‘চায়না লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম'৷ এই প্রকল্পের লোগোতে মানুষের পায়ের ছাপ রয়েছে৷ সেটা দেখে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক মহাকাশ বিশেষজ্ঞ মরিস জোনস বলছেন, এই পায়ের ছাপ দিয়েই চীন বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাদের লক্ষ্য কতদূর৷ ইতিমধ্যে চীন বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ২০২০ সালের মধ্যে একটা মনুষ্য স্পেস স্টেশন নির্মাণ করতে চায়৷ তবে, শুধু ঘোষণাই নয়, সেটা যে তারা সম্ভব করে তুলবে তার একটা আভাস দিয়েছে গত বছর নভেম্বরে৷ সেসময় প্রথমবারের মতো পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার উপরে দুটো মহাকাশযানের সফল ‘ডকিং' করায় চীন৷ এছাড়া অ্যামেরিকা যেমন তার ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম' জিপিএস'এর মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবীর ওপর নজর রাখে চীনও তেমন একটি ব্যবস্থা চালু করেছে গত বছর৷ যার নাম ‘বাইডু স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম'৷ আপাতত এটা এশিয়ার উপর নজর রাখছে৷ ২০২০ সালের মধ্যে পুরো পৃথিবীটাই এর আওতায় আনতে চায় চীন৷ ফ্রান্সের এক মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ইসাবেল সোর্বস-ভের্গার বলছেন, এক্ষেত্রে ইউরোপের চেয়ে এগিয়ে আছে চীন৷ তিনি বলছেন, এই পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সামরিক বাহিনীর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ৷ চীন যদি সফলভাবে পুরো পৃথিবীটাকে আয়ত্বে আনতে পারে তাহলে তারা মহাকাশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমান অবস্থায় চলে যেতে পারবে বলে মনে করেন ভের্গার৷ চীন সব সময় বলে এসেছে যে, মহাকাশ নিয়ে তাদের যত গবেষণা তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ৷ এর মাধ্যমে তারা মহাকাশে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চান না৷ সাম্প্রতিক পরিকল্পনা প্রকাশের সময়ও এ কথাটা আবারও বলা হয়েছে৷ কিন্তু তাদের এই মনোভাব যে আসলে কতটা সত্য, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের৷ dw-world.de
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।