আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাকাশে বিলাসিতা ও এর যৌক্তিকতা

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র

উন্নত দেশগুলো মহাকাশ গবেষনার জন্য নভোযান পাঠাচ্ছে অনেক আগে থেকেই। বিশ্ব সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটন আর মহাবিশ্বে মানুষের অবস্থান বোঝার জন্য এ মহাকাশ অভিযানগুলো বিশেষ গুরুত্বের দাবীদার। কিন্তু প্রশ্ন করি যখন কিনা বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যায় করে মহাকাশ পর্যটন করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উন্নত বিশ্বের ধনী লোকদের মাঝ্র একটা ঝোঁক দেখা যাচ্ছে মহাকাশ পর্যটনের। এ পর্যন্ত চারজন পর্যটক "সয়ুজ" খোয়াযানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ঘুরে এসেছেন।

তারা হলেন: ১. ডেনিস টিটো (২০০১) ২. মার্ক শাটল ওর্থ (২০০২ ৩. গ্রেগরী অফসেন (২০০৫) ৪. আনুশেহ্ আনসারী (২০০৬) এদের প্রথম তিনজন এ ভ্রমণের জন্য ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে পরিশোধ করেছেন রাশিয়ান স্পেস এজেন্সীকে। তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত গবেষনার ধুয়া তুললেও মূল উদ্দেশ্য ছিল ১. মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে একনজর দেখা ২. মহাশূণ্যে ওজনহীনতা উপভোগ আর ৩. সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি! প্রশ্ন হলো শুধু আনন্দ উপভোগ আর "টাকার গরম" দেখানোর জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ে মহাকাশ ভ্রমণ কতটুকু যৌক্তিক যখন পৃথিবীতে- ১. প্রতি ৩জনের মাঝে ১জন স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা পায় না ২. দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন প্রতি ৬জনে একজন ৩. নিরক্ষর প্রতি ৮জনে একজন এবং ইত্যাদি। javascript:void(1); click here to get advance menu বিজ্ঞানের সৃষ্টি মানবজাতির কল্যাণের জন্য, জীবনকে আরো সহজ করার উদ্দেশ্য। কিন্তু বিজ্ঞান এখন মুষ্ঠিমেয় স্বার্থবাদী কিছু গোষ্ঠির হাতে কুক্ষিগত বলে আমরা দেখি যুদ্ধ, পারমাণবিক বোমা আর অস্ত্রের হুমকি। এই স্বার্থ বাদী গোষ্ঠিই এখন বিজ্ঞানকে ব্যবহার করছে বিলাসিতা আর আমোদ প্রমোদের উপায় হিসাবে।

এটা কি বৈষম্য নয়? কবে বিজ্ঞান পুরোপুরি মনুষের কল্যাণে নিয়োজিত হবে? ষূত্র: উইকিপিডিয়া, ইউএনডিপি রিপোর্ট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।