আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিসরের পিরামিডের খুটিনাটি তথ্য। পর্ব-২।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ মিসরের পিরামিডের খুটিনাটি তথ্য। পর্ব-১। ঐ তিনটি পিরামিডের মধ্যে সর্ববৃহৎ পিরামিডটিকে বলা হয় 'আল হারামুল আকবার'। হারাম মানে পিরামিড আর আকবার মানে সবচেয়ে বড়।

বাদশাহ খুফু এটি নির্মাণ করেন। ভূপৃষ্ঠে তার মোট আয়তন ১৩.১ একর জমি। এক দিকের ভূপৃষ্ঠে এর দৈর্ঘ্য ৭৫৬ ফুট। নির্মান শেষে এর উচ্চতা ছিল ৪৮১.৪ ফুট। কালের পরিবর্তনে এটি ৩১ ফুট লোপ পায়।

এটি নির্মান করতে ২০ লক্ষের অধিক পাথরের ব্লক ব্যাব হার করা হয়েছে। তার কোন একটি পাথরের ওজনও দুই টনের কম নয়। কোন কোন পাথরের ওজন ১৫ টনও রয়েছে। তবে পাথর গুলোর গড় ওজন আড়াই টন করে। পাথর গুলোকে এমন শৈল্পিক নৈপুণ্যের সংগে জোড়ানো হয়েছে যে, এগুলোর মধ্যবর্তী ফাটল বাহির থেকে দৃষ্টি গোচর হয় না।

বরং দূর থেকে পুরো ভবনটিকে একটি মাত্র দৈত্যাকৃতির ক্রমান্বয়ে সরু পাথর বলে মনে হয়। আমেরিকার প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেসমন্ড ষ্টুয়ার্ট পিরামিড সম্পর্কে একটি পূর্ণাংগ গ্রন্থ রচনা করেছেন। সে গ্রন্থে তিনি লেখেনঃ ''বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই পাথুরে নির্মান কার্য তের একর জমিতে দাঁড়িয়ে আছে। তা ২০ লক্ষের অধিক ব্লক সম্বলিত। ব্লকগুলোর ওজন গড়ে আড়াইটন করে।

এর প্রত্যেক দিক ৭৫৫ ফুট দীর্ঘ কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, এর প্রত্যেকটি কোণ পূর্ণাংগ সমকোন বিশিষ্ট। আল হারামুল আকবারের ঠিক মাঝ বরাবর ভূমি থেকে সামান্য উচুতে গুহার মত একটি দরজা আছে। দরজাটি একটি সূড়ংগ পথে গিয়ে মিলিত হয়েছে। সুড়ংগ পথটি ভিতর দিয়েই পিরামিডের চূড়া পর্যন্ত উঠে গেছে। আরব ইতিহাসের বর্ণনা অনুযায়ী এটি পিরামিডের কোন দরজা নয়।

বরং খলীফা মামুনুর রশীদ তার শাসনকালে এর ভিতরের রহস্য উদঘাটনের জন্য বড় পিরামিডটির ভিতরের অংশ খনন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মাত্র এতটুকু অংশের খনন কার্যে সে যুগের বিরাট অংকের সম্পদ ব্যয় করা হয়। আর ব্যাবহার করা হয়, আগুন, সিরকা এবং মিনজানিক। খননের পর জানা যায় যে, এর প্রাচীরের পুরুত্ব ২০ হাত। ফলে ২০ হাত জায়গার খনন কাজ শেষ হলে সহসা সে স্থান বে হয়ে আসে যেখান থেকে সুড়ংগ পথটি উপরে উঠে গিয়েছে।

সুড়ংগের মুখে জবরজদ পাথরের একটি চিলমচিও রক্ষিত পাওয়া যায়। সেই চিলমচিতে ১০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা রাখা ছিল। যার প্রত্যেকটির ওজন ছিল প্রায় পৌনে দুই তোলা। পরবর্তীতে মামুনুর রশীদ খননকার্যের মোট ব্যয় হিসাব করে দেখেন ব্যয়ের পরিমাণ প্রাপ্ত স্বর্নমুদ্রার সমান সমান। এই সুড়ংগ পথে চলাচল শহজ সাধ্য নয়।

মাথা নিচু করে খুবই সরু এই পথ দিয়ে ভিতরের দিকে যেতে হয়। ভিতরে একেবারেই অন্ধকার। আমরা যখন শেষবার ভিতরে যাই তখন প্রচন্ড শিতের মাঝেও ঘর্মে শরীর ভিজে যায়। মনে হয় যেন এক পাথরের গর্তে প্রবেশ করছি। পিরামিডে প্রবেশের পথঃ- সুড়ংগ পথটি প্রশস্ত ও বিস্তৃত একটি হল কক্ষে গিয়ে শেষ হয়েছে।

হলকক্ষের উত্তর পশ্চিম কোণে পাথরের একটি হাউজ রয়েছে। বাদশাহদের দেহ সেই হাউজের ভিতর রাখা হত। ইতিহাসের বইতে লেখা আছে, পিরামিডের প্রাচীর সমূহে বিরল ও বিচিত্র হস্তলিপিতে বিভিন্ন কথা লেখা ছিল। কালক্রমে তা মিশে গেছে, এর প্রাচীর সমূহ বিচিত্র কারুকার্য ও হীরা ঝরত দ্বারা সজ্জিত ষিল। বর্তমানে এর কোন কিছুই অবশিষ্ঠ নেই।

লাইটশো এর মাধ্যমে সংক্ষেপে ইতিহাস দেখে নিতে চলবে। সংকলিত। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.