পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ -আপনি কি জানেন ফেরাউনের দৈর্ঘ কত হাত ছিল? মাত্র সারে তিন হাত।
-আপনি কি জানেন যে তুর পাহার পুড়ে ছাই হয়েছিল, সেটাই এখন শুরমা হিসেবে ব্যাবহৃত হয়? সম্পুর্ন ভূল।
-------------
প্রাচীনকালে বিশ্বের যে সপ্তাশ্চর্য প্রসিদ্ধ ছিল, তার মধ্যে মিসরের পিরামিডই একমাত্র এমন আশ্চর্য বস্তু, যা আজ পর্যন্তও আশ্চর্যজনক রূপে স্বীকৃত হয়ে আসছে।
এই ভবন কে কোন্ উদ্দশ্যে নির্মান করেছিল এ বিষয়ে ঐতিহাসিক বর্ণনাসমূহ এত বেশী বিরোধপূর্ণ যে, তার ভিক্তিতে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া দুষ্কর।
তবে প্রাচীন আরবীয় উৎসসমূহে এ বিষয়ে যে বর্ণনাটি অধিক প্রসিদ্ধ তা এই যে, হযরত নূহ (আঃ) এর প্লাবনের পূর্বে মিসরের সরীদ নামীয় এক বাদশাহ একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কোন কোন জ্যোতিষী ও গণক এই দিয়েছিল যে, পৃথিবীতে বিশ্বব্যাপী এক বিপর্যয় আসন্ন। তখন সুরীদ এসব পিরামিড নির্মানের নির্দেশ দেন।
এ সম্পর্কে আরেকটি বর্ণনা এই আছে যে, আদ সম্প্রদায়ের শাদ্দাদ নামক এক বাদশাহ পিরামিড সমূহের প্রতিষ্ঠাতা।
কোন কোন বর্ণনায় হযরত ইদরীস (আঃ)কে এগোলোর প্রতিষ্ঠাতা
বলা হয়ছে।
এ সকল ভবন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার জাদুকরী কাহিনীও প্রসিদ্ধ রয়েছে।
কিন্তু আধুনিক কালের প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বিভিন্নখনন কার্য এবং বিভিন্ন প্রাপ্ত লিখনীসমূহের গবেষণার পর যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন তা এই যে, মিসরের পিরামিডগুলো মূলতঃ প্রাচীনকালের বাদশাহদের সমাধিরূপে নির্মান করা হয়েছিল। ফলে মিসরের বিভিন্ন অংশে অনেকগুলো পিরামিড নির্মিত হয়। তাই প্রায় আশিটি পিরামিডের নিদর্শন নীলনদের পশ্চিমান্চল এবং মিসরের নিম্নান্চল ও মধ্যবর্তী অন্চলসমূহে এখনও পাওয়া যায়। তবে এগুলোর থেকে কায়রোর অদূরে জিজা/গিজা নামক অন্চলের সর্ববৃহৎ পিরামিড তিনটিকেই মূলত বিশ্বের আশ্চর্য বস্তুরূপে গণ্য করা হয়।
আধুনিক কালের গবেষণা অনুযায়ী উক্ত পিরামিডত্রয় হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্মের প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে ফারাওদের বংশের চতুর্থ শাখার বাদশাহ খুফু ও তার পুত্র খফরে এবং মানকারা নির্মান করেছিলেন।
(সংকলিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।