‘সরকারের এতবড় স্পর্ধা’- বলার স্পর্ধা গণজাগরণ মঞ্চ কই পায়! ইমরাণের বক্তৃতার ড্রাফট কে করছে তাকেও নাকি খুঁজতে কইছে প্রধানমন্ত্রী । এইটা নিশ্চয়ই এপ্রিল ফুল নয়। প্রধানমন্ত্রী সত্যই কইছেন বইলা বিশ্বাস করবার চাই। প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্যে কিছু তৃতীয় শ্রেণীর আওয়ামী লীগার ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রায় সকলেই আহত হইছেন বলে শুনতাছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি ভীষণ খুশি।
সে যুক্তিতে আমারেও তৃতীয় শ্রেণীর আওয়ামী লীগার কইতে পারেন। আপত্তি নাই।
স্বীকার করি বা না করি জাগরণের জন্ম কিন্তু সরকারের বিরোধীতা কিংবা সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের নিমিত্তেই। জামাতিদের অতিরিক্ত লম্ফ জম্ফ এবং পরবর্তিতে বিএনপির উলঙ্গ নৃত্যে ফসল উঠছে আওয়ামী লীগের গোলায়। স্বাভাবিকভাবেই ‘আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক’ বলে একই সুর ও ছন্দে বিরোধীরা গীত গাওয়া শুরু করলেন।
যদিও হানিফ, তোফায়েলদের মঞ্চে চেহারা দেখানোর সুযোগ দেওয়া হইলো না। সেই সাথে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের কৃর্তীগীত ও গাওয়া শুরু করলো বিরোধীরা। একদিন ছড়াইলো লাকী নাকি ধর্ষিত উদ্যানে। তারপর বলা শুরু হলো প্রতিদিনই চত্বরে ধর্ষণে উম্মত্ত হয় ছাত্রলীগ। শাহবাগে গেলে নাকি খাওন-..দন ফ্রী, সাথে আবার নগদ নারায়ণও জোটে।
তাহারা যতই চিল্লায় ততই বড় হয় জাগরণ। মেশিনম্যান কট হওয়ার পরেই দৃশ্যপটে পরিবর্তন। ম্যাডামও সিঙ্গাপুর থেইকা ছবক নিয়া আইলেন জেহাদী জোশের। রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠলো জামাতিরা। ট্রাইবুনাল নয় রায় যেন দেছে মন্দির থেইকা কোন হিন্দু ব্রাম্মন।
নির্বিচারে ভাংচুর আর আগুন দিল মন্দির আর হিন্দু বসতিতে। অহিংস আন্দোলনের উপর একের পর এক থ্রেট আসা শুরু হইলো। কখনো জামাতিরা কখনো বিএনপি কখনও তাদের নতুন তালেবানি চেহারা হেফাজতে ইসলাম। বোমাও ফাটাইয়াও থ্রেট দেওয়া হইলো। এমতাবস্থায় জাগরণ মঞ্চের সামনের সারিতে প্রথম বারের মত চেহারা দ্যাখা গেলো সর্বদলীয় ছাত্রনেতাদের (আদুভাইরা ছাড়া) শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস ধইরা রাখার জন্য।
নিন্দুকরা এটারই অপেক্ষায় আছিল এতদিন। তাহারা যেন প্রমান করতে সক্ষম হইলো, ইহা আসলেই আওয়ামীলীগের প্রযোজনায় নির্মিত মঞ্চ নাটক। সেই সাথে অনেক সুশীলও তাহাতে বিশ্বাস করল। আমার অনেক বন্ধু যারা সপরিবারে প্রায় নিত্য আসে শাহাবাগে তারাও আসা বন্ধ করলো। তাদের সবারই কমন বাচ্য ‘তোরা আওয়ামী লীগাররা আসলেই খারাপ।
গণজাগারণ মঞ্চডাও তোগো দখল করা লাগে?’
এইবার দেখুম তাহারা কি কহে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।