প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। যাকে ছাড়া বাঁচা যায় না তার কথা কতটুকু ভাবি । ভাবি না । যে না থাকলেও বাঁচি তারই কথা আমরা ভাবি । ঘুম থেকে উঠেই ঈশ্বরকে খুঁজি অথচ আজ পর্যন্ত কেউ তাকে চোখে দেখে নি ।
ঈশ্বর মানুষের সাথে কথা পর্যন্ত বলে নি । মানুষ যে কত অপরাধ করছে তার বিচার ঈশ্বর করে নি । অথচ প্রতিমুহূর্তে যার দরকার তার কথা ভাবি না কেন । সে কে ? সে হলো বাতাস । বাতাস আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে ।
বাতাস আছে তাই আমি বেঁচে আছি । বাতাস আছে তাই আমি এত আওয়াজ শুনতে পাই । বাতাস আছে তাই আমি এত গন্ধ নিতে পারি । আমার সামনে এত যে ছবি ভেসে উঠছে সেগুলি আমি বাতাসের মধ্য দিয়ে দেখি । বাতাস নেই অথচ ছবি দেখছি ব্যাপারটি তেমন নয় ।
সবাই বাতাসের জালে জড়িত । বাতাসই ঠিক করে দেয় কার জীবনে কি ঘটবে ? আমার আওয়াজ বাতাসই পৌঁছে দেয় । বাতাস যদি আমার আওয়াজ অন্যের কাছে পৌঁছে না দিত তাহলে কেমন হতো ? আমি শূন্যের মধ্যে নেই। আমার চোখে দেখা ছবি শূন্যের মধ্য দিয়ে নয়। আমরা আছি বাতাসের মধ্যে ।
আবার আর এক প্রাণী বেঁচে থাকে জলের মধ্যে । জল এবং বাতাসের মধ্যে প্রাণী এবং উদ্ভিদ বেঁচে আছে । বাতাসের মধ্যে আমি আছি । অথচ তাকে দেখতে পাচ্ছি না । না দেখা এক পদার্থের মধ্যে আমি ডুবে আছি ।
জল দেখা যায় । বাতাস এমনভাবে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে কেন ? তোমার কথা কেন শুনবো ? বাতাসই শুনাতে বাধ্য করছে । তোমার গন্ধ আমি নেবো কেন ? বাতাসই বাধ্য করছে গন্ধ নিতে । এত দুঃখ এত আনন্দ আমাদের শরীরে কে বহন করে আনছে ? বাতাস । বাতাসের জন্যই আমাদের দুঃখ কিংবা আনন্দ।
বাতাস নেই তো আমাদের দুঃখ নেই কিংবা আনন্দ নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।