কারো অসহায়ত্ব জিইয়ে রাখাটা কারো আধিপত্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অপরিহার্য হয়ে পড়ে। আসলে আত্বনির্ভরশীল না হয়ে পরনির্ভরশীলতাই আত্বমর্যদাশীল জীবনযাপনকে অসম্ভব করে তুলে। অধীনস্ততার মাধ্যমে স্বাধীন বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়। যা প্রকৃত ব্যক্তিত্ববান ও দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন রুপে গড়ে ওঠার অন্তরায়।
মুক্তভাবে বেড়ে ওঠার স্বপ্ন যতটা আরামদায়ক স্বক্ষমতাবান হবার ক্ষেত্রে বাস্তবতা ততটাই কঠিন।
সৃজনশীল ক্ষমতাসম্পন্ন ও নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন মানুষের পক্ষে পরের দাসত্ব মেনে জীবনযাপন করাটা স্বাভাবিক নয়। নিজস্ব ক্ষমতাবলয় সম্প্রসারণের মানসিকতা অন্যের হুবহু অনুসরণ, অনুকরণ ও দিকনির্দেশনাকে বিচার বিবেচনা ছাড়াই মানার প্রবণতা না থাকতেই যৌক্তিক করে।
দ্বন্ধমূলক পরিস্থিতি, চিন্তা ও বাস্তবতার বৈপরীত্য জটিলতার আগমনের পথকেই সুগম করে। অন্যের কর্তৃত্ব মানাতেই মানসিক প্রশান্তি লাভ বাধ্যানুগত ও নিয়ন্ত্রিত হবার প্রবণতারই বহি:প্রকাশ। তবে স্বভাবগত ভিন্নতাই প্রকৃতিগতভাবে মানুষে মানুষের মধ্যকার পার্থক্যকে উপস্থাপন করে।
সৃজনশীল চিন্তা আর ধ্যানির নব ধারণা হচ্ছে বীজের মতই মূল্যবান। এখন বীজ যেমন উপযুক্ত জায়গায় রোপন করার প্রয়োজন হয় তেমনি নতুন আইডিয়ার বিকাশ ও বাস্তবায়নে যথোপযুক্ত পরিচর্যা ও পরিবেশ প্রয়োজন।
জন্মলগ্ন থেকেই শিখতে শিখতে আজকের আমার এতদূর আসা। অন্যের কাছ থেকে ধার করা চিন্তার চেয়ে নিজের চিন্তাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেক সময় বিড়ম্বনার মুখোমুখিও হয়েছি। তবে এতে হতাশাগ্রস্ত হবার কারণ ছিলনা, নতুন অভিজ্ঞতা নব স্বপ্নে উজ্জীবিত করেছে।
হৃদয় থেকে বড় বড় যেসব চিন্তাগুলো উদ্ভূত হয়েছে তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সফল হলে আনন্দিত হয়েছি তবে ব্যর্থতায়ও থেমে যাইনি।
জীবন সংগ্রামে চলার পথে অনেক বিজ্ঞজনের সংস্পর্শ পেয়ে ধন্য হয়েছি কিন্তু বোকার নিয়ন্ত্রণহীন মুখ বিরক্ত সৃষ্টিও করেছে প্রচুর। হুশহীনের বেফাস কথা নিশ্চুপ থাকার অপরিহার্যতাই দাবি্ করেছে। তবে নতুন চিন্তা ভাবনা, ধ্যানধারণা এক নতুন সময়ের দিকনির্দেশ করেছে।
উজ্জল আগামীর স্বপ্ন দেখিয়েছে। আশা নিয়ে বেঁচে থাকার মাঝে যে সুখ হতাশ হয়ে টিকে থেকে সেটি অনুভব করা যায়না।
সব বিষয়ে জানতে চাওয়াটা কল্যাণকর নয়। কিছু কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো না জানাটাই মঙ্গলজনক। জানার পরিধি বিস্তৃত হওয়াটাই নিরাপত্তার গ্যারান্টি নাও হতে পারে।
যারা বাস্তবতা না বুঝে আবেগ নির্ভর বেফাস কথা বলে তাদের অযৌক্তিকতাই তাদেরকে অনিরাপদ করে তুলে। জ্ঞানী, অভিজ্ঞ ব্যক্তিও যে ভুলের উধ্বে নয় এটা মনে না রাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবতার চিত্রও পাল্টে যেতে থাকে। পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলে তা মেনে নিয়ে কৌশলগত পরিবর্তন আনতে হয়। এক্ষেত্রে যতটুকু সম্মান পাওয়ার উপযুক্ত তার চেয়ে বেশী সম্মান পাওয়াতে আনন্দের কিছু নেই বরং যোগ্যতার স্বীকৃতি যে যতটুকু যোগ্য তাকে কতটুকুই দেয়া দরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।