আমি কিছুদিন আগে থেকেই অনুভব করছিলাম আমার শরীরের অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে পড়েছে, মাঝে মাঝে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ছিলাম তারপর স্কোয়ার হাসপাতালে যাবার জন্য রেডী হয়েও পারিনি। নানারকম চিন্তায় আমাকে ফিরিয়ে এনেছিল। যাই হোক এক মুজাহিদ গ্রুপ আমাকে ফোন করেছিল আমি তাদের কাছে বাচাঁর জন্য আহবান করেছিলাম বার বার কিন্ত তারা আমাকে সাহায্য করতে পারেনি। কেবল আমার সাথে ফান করেছিল।
তারপর আমি স্টেথিস্কোপ কিনে এনে বাসায় চিকিৎসক ডাকার পর দেখা গেল আমার ইতোমধ্যে প্রেসার ও ডায়াবেটিকস হয়ে গেছে।
তার বড় কারন আমি ৬ মাস ঘর হতে বের হইনি। অফিস বন্ধ করার পর বাহিরে যাওয়াও বন্ধ করেছিলাম। আমি ভারতের সিএমসি হতে দুইবার ব্রেন অপারেশনের পর ২০০৫ সনে শেষ বারের মত চেক আপ করিয়েছিলাম ভারতে। আমার শরীর ছোট শিশুর মত হয়ে গিয়েছিল কিন্ত আজ আবার আমার শরীরে অসুখ বাধা বেধেছে কিন্ত কেন ?
কেন বার বার এই বাংলাদেশ কৃষান কন্যাকে অপমান, অপদস্থ করে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে ? কেন বিএসএফ আমাকে ইলেকট্রিক চার্জ দেবার পর তার বিচার না করে ,আমার সারা জীবনে ক্ষতিপুরন না দিয়ে অবশেষে আমাকে সারা পৃথিবীর সামনে সাময়িক বহিস্কার করে আমাকে দ্বিতীয়বারের মত অসুস্থ্য করা হল ? এ বিচার আমি কার কাছে চাইব ?
২০০৪ সনে আপনজনদের আর্শিবাদ ও সিএমসি হাসপাতালের ডা: আরি চাকুসহ সকল চিকিৎসকের অপ্র্রাণ চেষ্টার ফলে আর আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে যে নুতন জীবন আমি লাভ করেছিলাম , আর আজ সেই জীবকে দুবিসহ যন্ত্রনায় ঢেকে দেযা হয়েছে। আজ আমি আবার নতুন করে বাচঁতে চাই।
সারাজীবন বাংলাদেশ সচিবালয় নির্দেশিকাকে সম্মান করে সততার সাথে কাজ করলেও সেদিন আমাকে সেই রুলস সাহায্য করতে পারেনি। অবশেষে আমার বাবার জমি বিক্রি করে আমি চিকিৎসা করিয়েছিলাম। আর আজ আমি কেবল সরকার ও আপনজনদের উপর রাগ করে আমার শেষ সম্বল জমিটাও বিক্রি করে এ পর্যন্ত টিকে ছিলাম। কিন্ত আজ আমার সবই শেষ হয়ে গেছে।
আমি জানি আজ কৃষান কন্যার পাশে দাড়াবার মত মানুষ এ বাংলার কেন পৃথিবীরও নেহ।
কারন কৃষান কন্যা আজ রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ের ফাসীর আসামী্ । হয়ত তাকে সাহায্য করলে তাদেরওে এহ বাংলায় সমস্যা হয়ে যাবে। তাহত মোজাহিদরা আমার সাথে ফান করে চলে গেল। মানবতা দেখাতে পারেনি। সেদিন এহ সরকার ও এহ সমাজের আপনজনেরা ছড়ে ফেলে দিযেছিল কিন্ত আমার বাবার জমি বিক্রি করে আমি চিকিৎসা করিয়েছিলাম কিন্ত আজ আমি তা পারছি না।
তাহত আজ সারা পৃথিবীর কাছে আমি বাচার জন্য আহবান করছি। আমি বাচঁতে চাহ। আমাকে আপনারা বাচঁতে সাহায্য করুন।
এমতাবস্থায়, আমার সকল ভাই, বন্ধুদের কাছে আমার আহবান আপনারা আজ কৃষান কন্যার জীবন বাচাঁবার জন্য এগিয়ে আসবেন আশা করি। তারপর আমি একটি চাকুরী খুজঁব যদি বেচেঁ থাকি কেবল লেখার জন্য।
সেখানেও আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
মানুষ মানুষের জন্য--
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছান্তে-
কৃষান কন্যা রাহিলা
২ ডিসেম্বর,২০১২ খ্রি:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।