আমরা সবাই অভিনয় শিল্পী এই রঙ্গমঞ্চের...... কিছুক্ষন আগে (১১ টার দিকে) সময় টিভিতে একটা লাইভ টকশো চলছিল। দুজন আলোচক। বি এন পির আবদুল্লাহ আল নোমান আর আওয়মীলীগের কোন এক এমপি হবেন , টক শো টি শেষ পর্যায়ে থাকাতে তার নামটা আর জানা যায়নি। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বা সেক্টর কমান্ডার ফোরামের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতা সেক্টর কমান্ডার হামিদুল্লা সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কোন শোক প্রস্তাব দেওয়া হয়নি কেন? এইটা দল মত নির্বিশেষে এক জন মুক্তিযোদ্ধার প্রার্প।
বিগ্ঘ আলোচক যা বল্লেন ( আওয়ামীলীগের )"শুনেন স্বাধীনতার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের একটাই স্লোগান ছিল আর তা হল জয় বাংল, এর বাইরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আর কোন স্লোগান হতে পারেনা, ছিল ও না, আর জয় বাংলাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্লোগান , তখন ও যেমন ছিল এখন ও আছে।
কারন সব মুক্তিযোদ্ধারাই জয় বাংলার মধ্যে আছে। "
উনার এই বক্তব্য চলতে চলতে টকশোটাই শেষ হয়ে গেল।
আমার প্রশ্ন হল, যারা এই সব কথা বলে তাদের কি সামান্যতম জ্ঞান ও কি নাই। যে সে কি বলতেছে। কিছু হলেই বলে আমরা মুক্তিযু্দ্বের স্বপক্ষের শক্তি।
আপনি যে কোন নির্বচনই দেখেন আওয়ামীলীগ তাদের প্রার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে। যখন হেরে যায়...তখন ব্যাপারটা কেমন হয় মুক্তিযু্দ্ধের শক্তি হেরে গেল আর যারা বিপক্ষে ছিল যুদ্ধের তারা জিতে গেল। ধরে নিলাম মুক্তিযু্দ্ধের শক্তি জিতে গেল কিন্তু ব্যাবধান খু্বই সামান্য তখন কি এমন ধরে নিতে হবে দেশের ৪৮% লোকই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে????
আমরা কি কান্ডগজ্ঞান হীন কথা বলে নিজেরাই মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করছি না???
আমরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আর বিপক্ষ নিয়ে টানা হেচরা করছি,,কয়দিন পর না আমরা বিরক্ত হয়ে বলে উঠি যুদ্ধ করাটা আসলে কতটুকু যৌক্তিক ছিল ???? লেবু যত চিপাবেন এক সময় তেতু হয়ে যায়। যেমন টা যুদ্ধাপরাধী বিচারের ক্ষেত্রে হচ্ছে। বিএনপি আগে যেভাবে বলত এখন সরাসরি এই বিচারের বিপক্ষে বলছে ।
ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যুদ্ধ কতটা যৌক্তিক ছিল এই কথা লিখার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।