শরীরে আচড়ের দাগ, নষ্ট হল বুঝি আবার মানবতা! ভালবাসা কি ? এই প্রশ্ন বুকে নিয়ে
উত্তর খুঁজতে নেমে একদিন- শতরূপা ফুলেল বাগান,
সাত কোটি পরাগ রেণুর ওড়াউড়িতে
হলদে হয়ে থাকা সরিষার মুগ্ধ মাতাল ক্ষেত ;
তাল, সুপারি, শিরীষের বনের ভেতর থেকে
বেড়িয়ে এসে, কংক্রিটের প্রাবল্য, নগরায়নের বানে ভাসা
এই তপ্ত নগরীর অলি গলি,
বিকারগ্রস্ত শকুনের মত খুঁজেছিল সে।
জীবনের শোষণে কাকবলী হয়ে
এ জন্মে মরে যাওয়া সেই প্রেত যুবক,
সারা বিশ্ব চষে বেড়িয়ে, সাত সমুদ্দুর ঘুরে আসা
ফেরারি জাহাজে ধূসর মাস্তুল উড়িয়ে, অবশেষে
কল্পনার ললাটে রক্তের ফোঁটার মত
ভালবাসা নিয়ে, দৈব ঘূর্ণিপাকের অনাবশ্যক শিকার হয়ে
একবার এসেছিল এই গ্রহণের নদীতে। আমরা
ফিরিয়ে দিয়েছিলাম তাকে, রক্তগোলাপ গুলোর উষ্ণতাসহ !
আমরা নিষ্ঠুর, অবিবেচক নই। সমাধির বুক থেকে
ঝরে যাওয়া ফুল নিই শুধু। ভালবাসা
থাকতে নেই হারানো স্মৃতির প্রতি।
ওরা অতীত
বিষাদের জন্মদাত্রী, মৃত বিষণ্ণতা প্রসবা !
অবিনশ্বর সময় চলে অনন্ত ধারার গনিত তত্বে!
শৈশব চপলতা, তারুণ্যের অই উদ্যমতা,
যৌবনের প্রথম প্রেমের অস্থিরতা থিতিয়ে আসা-
সেই যুবক, আগুন লাগা স্রোতে ভাসাবে
বলে, আবারো আসে গ্রহণ নদীতে।
এবার সে বেদনায় নীল। ম্লান মলিন মুখ তার
নিঃশব্দে সরব। আমরা গ্রহণ করি
এপিটাফের তলা থেকে নিয়ে আসা শোকার্ত
শাদা অর্কিডগুচ্ছ। অন্তিম শয্যা নেয়া
ভালবাসারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়তবা সময়ের আয়নায়,
তবু তারা মরেনা কোনদিন ।
শুধু নির্জনতার নীল হুলিয়া জারি হয়
কালো কালো বাতাসের স্রোতে ।
রচনা : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১১
উৎসর্গ : প্রিয় ছোট ভাই চাটিকিয়াং রুমান কে । আমার অসম্ভব পছন্দের একটা ছেলে । এত বিনয়ী মানুষ খুব কমই পাওয়া যায় । তার জন্মদিনে আমি এই লেখাটা লিখে তাকে দিয়েছিলাম ।
এইটি চতুর্থ সংশোধনীর পরে প্রকাশ করলাম ।
বি.দ্র : কবিতা পছন্দ না হলে সরাসরি বলবেন পাঠকেরা । কোন রকম ইতস্তত বোধের কিছু নেই । সবাইকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য । না পড়লেও ঢোকার জন্য।
আর না ঢুকলেও ধন্যবাদ, কিন্তু দেখতে পাবেন না ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।