আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রহণ ও ত্যাগ



কি লিখিব? ভাবিয়া ভাবিয়া কিছু ঠিক করিতে পারিতেছি না! চলিত ভাষার অাশ্রয়ে কিছু লিখিলে তাহা কালের চলিত স্রোতে ভাসিয়া বিলীন হইয়া যাইতে পারে ভাবিয়া সাধু ভাষার শরনাপন্ন হইলাম। মনে হইতেছে পুরো দেশটাতে বুঝিবা গ্রহণ লাগিয়াছে। সকলে গ্রহণ করিতে তত্পর হইয়া উঠিতেছে। এক্খনে এইটাই নিয়ম হইয়া দাঁড়াইয়াছে। অচিরেই হয়তোবা সংসদে অাইন পাশ করাইয়া গ্রহণ বিষয়খানি পাকাপাকিভাবে অামলাতান্ত্রিক অধিকার করিয়া লওয়া হইবে।

অার অামরা যাহারা সাধারণ অাম জনতা তাহারা অামের বিচি চুষিতে চুষিতে প্রবলভাবে মাথা দুলাইয়া, গ্রীবা বাঁকাইয়া ইহার প্রতিবাদে নিমিত্ত হইব- প্রেস ক্লাবের সম্মুখে ব্যানার, মৌন প্রতিবাদ; শহীদ মিনারে অামরণ অনশন, সভা-সমাবেশ, এবং ফলশ্রুতিতে পত্র পত্রিকায় অল্প বিস্তর লেখালেখিও হইবে বৈকি। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই বলিতে পারা যায় যে, তাহাতে খবরের কাগজওয়ালাদের পৃষ্ঠা ভরাট বা পেইজ মেকঅাপ হওয়া ভিন্ন অন্য কোন গূঢ় লাভ হইবে না। অনতিকাল পরেই অামরা তথাকথিত অামলা ভাইদের হাতে পানি (পাণি) গ্রহণ করিয়া অনশন ভাঙ্গিয়া গা ঝাড়া দিয়া উঠিয়া বসিব এবং মনে মনে ভাবিয়া লইব- অামার গায়ে তো ধুলিকাদা লাগিবার অাশংকা নাই। তবে অামি কেন যাচিয়া পরিয়া ধুলায় গড়াগড়ি যাই। অামার কি ঠেকা পরিয়াছে? যাহার বিবাহ তাহার দেখা নাই ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই রকমেই ডিফেন্স মেকানিজমের অারও অনেক কঠিন কঠিন যুক্তি দিয়া মনকে প্রবোধ দিয়া একেবারে জনমের মত ঠান্ডা হইয়া যাইব এবং পরবর্তীতে অনন্যোপায় হইয়া ত্যাগ স্বীকার করিয়া লইয়া চাহিবামাত্র ত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিব। অার যেই 'অালামীন' ডাস্টবিন হইতে অামাদিগের ত্যাগকৃত ময়লা গ্রহণ করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিয়া থাকে ময়লা ঘাঁটিয়া অপবিত্র হইবার পাপে এই রমজানেও মসজিদের পাক পবিত্র অঙ্গন তাহাকে গ্রহণ করিতে পারিবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।