আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুখে ওঠো বাংলাদেশ!

নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে হায় বাংলাদেশ! শিমুল তুলোর মতো উড়ছে কেমন রক্তাক্ত তোমার সংবিধান, শেলবিদ্ধ আহত পাখি যেন এক, মুখ থুবড়ে পড়বে এক্ষুনি। আবার অবরুদ্ধ তুমি বোমারু ঘাতকের কাছে! আমি কে! নির্বীষ পিঁপড়া! নিস্পেষিত হওয়া অথবা পলায়ন ব্যতীত অন্য কোন নিয়তি নেই? পূর্ব জন্মের অস্পষ্ট স্মৃতির মতো মনে পড়ছে- ১৭৫৭ সাল মোহাম্মদী বেগের ছুরিতে গেঁথে যাওয়া বাংলার স্বাধীনতা, পুনরাবৃত্ত হচ্ছে পলাশীর প্রহসন, মীরজাফর ঘসেটি বেগমেরা আবার বাংলার মসনদ ভাগাভাগী করে তিরিশ লক্ষ বাঙালীর রক্ত খাওয়া রাজাকার, আলবদর, আল সামশের সাথে। মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরীরা চিহ্নিত শত্রুর সাথে ক্ষমতার গাটছড়া বাঁধে, জঙ্গী লোলুপ হায়েনার পাল পুষে, লেলিয়ে দেয় রক্তে লেখা পবিত্র সংবিধানের পিছে! মাতৃভূমি আবার বধ্যভূমি রায়ের বাজার, শহীদ মিনার স্মৃতি সৌধ কেঁপে কেঁপে উঠছে, গুমরে কাঁদছে নিজামীদের পদভারে বাঙালীর অর্জন, মানুষের হাড়, মাংস, অক্ষিগোলক কোটর ছেড়ে ছিটকে পৌঁছে যাচ্ছে আল্লাহর আরশের কাছে, হায় বাংলাদেশ! আবার অবরুদ্ধ, বোমাহত পাখি! মুখ থুবড়ে পড়ার আগেই আমি কি আর একবার রুখে দাঁড়াবো না? আমার মুক্তিযুদ্ধের সাহস, নির্বীষ পিঁপড়ার ক্ষুদ্রতায় বিলীন হতে হতে রক্তের গভীরে আহত বাঘের গর্জনে জেগে উঠে, কে আমি? আমার যুদ্ধজয়ের গৌরব, আমার ত্রিশ লক্ষ হারানোর ব্যাথা আমার প্রতিশোধ স্পৃহা-ক্রোধ, আমার রক্তের ভেতরে ট্রেনিং! আমিতো মুক্তিযোদ্ধা, আমি আবার যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তত! আমিতো বিরাঙ্গনা, আমিই আবার ধর্ষিতা হবার জন্য প্রস্তুত! রুখে ওঠো বাংলাদেশ! ১৯.১২.০৫পুরানা পল্টন, ঢাকা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।