সকালে উঠে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা ছবি দেখে চমকে উঠলাম। নিকৃষ্টতার কি চমৎকার উদারহণ!!!!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে যখন হেটে যাবেন তখন বিভিন্ন দেয়ালে দেখবেন ল্যাম্পপোস্টের নামে বিভিন্ন দেয়াল লিখন লেখা। ল্যাম্পপোস্ট দিনের আলোতে কাজ করে, গোপন বা নিষিদ্ধ কোন সংগঠন না। ল্যাম্পপোষ্টের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশেরই সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশেরই শীর্ষবিদ্যাপিঠ।
ল্যাম্পপোষ্টের ছেলেমেয়রা এই শীর্ষ প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্র ছাত্রী। অথচ তাদের গায়ে যেভাবে বর্বর নিকৃষ্টতায় বাংলাদেশের জনগণের টাকায় প্রতিপালিত পুলিশ হাত তুল্ল তাতে গোটা জাতি রীতিমত হতভম্ভ।
তারা কি কোন অন্যায় দাবী নিয়ে গেসিল? নাহ। তারা যে দাবী নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে গেসিল তার সবগুলাই যুক্তিসংগত: পিনাকের ফিরিয়ে নেয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা, টিপাইমুখ বাধ, ট্রানজিটের নামে করিডোর, তালপট্টি থেকে নৌবাহিনী প্রত্যাহার ইত্যাদি। এ সবই এখন সারা দেশের দেশপ্রেমিক মানুষের প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে (কিছু ভারতীয় পা-চাটা দালাল ছাড়া)।
অথচ দেখুন কি অত্যাচারটা করা হল তাদের উপর। শরীরে আগুন ধরে গেল যখন পড়লাম: “১১:২৫ মিনিটের দিকে ভারতীয় দূতাবাস থেকে দু’জন কর্মকর্তা বের হয়ে গুলশান থানার ওসির প্রতি হিন্দিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলে ওসি পুলিশকে আরেক দফা হামলার নির্দেশ দেন...দ্বিতীয় দফা প্রচন্ড পিটুনিতে দূতাবাসের সামনে নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নারী শিক্ষার্থীদের আর্তচিৎকারে ব্যাপক ভীতি ছড়িয়ে পড়ে...” (আমার দেশ ৬ জুলাই ২০০৯)
ভারতীয় কর্মকর্তার নির্দেশে এদেশের পুলিশের এদেশের সন্তানদের উপর হামলা? সন্দেহ লাগে আমরা কি স্বাধীন দেশের নাগরিক নাকি এটা অলরেডি ভারতের অংগরাজ্য হয়ে গেসে?
অথচ দেখুন “সর্বাধিক প্রচারিত” দালাল প্রথম আলো আজকে প্রথম পৃষ্ঠায় এ ঘটনার কোন ছবি ছাপেনি এবং কোন নিউজই করেনি (শেষের পৃষ্ঠায় জায়গা দিয়েছে)। কেন? প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপলে কি উনার দাদারা নাখোশ হবেন? দাদারা কি পকেট ভালোমত ভরে দিয়েছেন? “বদলে যাও বদলে দাও”-এর মত শস্তা শ্লোগান ফেরি না করে আগে নিজেদের বদলানো দরকার। গোটা দেশের দেশপ্রেমিক নাগরিকেরা এহেন ভারতীয় দালালদের এ দেশের মাটিতে কিছুতেই জায়গা দেবেনা।
অর্থের জোরে জাতির ঘাড়ে চেপে বসা এসব মিথ্যাবাদী-মীরজাফরী বোঝা জাতি ঘাড় থেকে ঠিকই একদিন ছুড়ে ফেলে দিবে।
দেশের গণমানুষের স্বার্থ, স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিদেশী প্রভুদের নির্দেশে এসব তরুণ ছেলে-মেয়ের যে রক্ত ঝরল আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি এ রক্ত কিছুতেই বৃথা যেতে দেব না। পিনাক-টিপাইমুখ-করিডোর ইস্যুতে গণজোয়ারই পারে এসব মীরজাফরদের প্রতিহত করতে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা দেশকে সিকিম হতে দেবনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।