নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই খানিকটা গল্পের মত - একদা এক সহপাঠী আমার, শেষ বেঞ্চ বসে থাকা দরিদ্র কিশোর; চুরুট থেকে খৈনি টানে; হয়তো অভাবে, অশিক্ষায় বখে গিয়ে বয়:সন্ধিতে আন্ত:জেলা দস্যুবাহিনীতে যোগ দেয় সড়কে নির্জনে নিশিরাতে যখন ফিরেছি পরিবার দূরবর্তী উৎসব শেষে আনন্দের ছায়া; অতর্কিতে আক্রমণ হয়ে; ধৃত এবং সর্বস্ব লুট হল আমাদের প্রকাশ্যে খুন হল পিতা; আমি স্বেচ্ছায় কিছুই মনে রাখি নি আজ; সেই লাল ভোর ধর্ষিত হল নবম বছরের ভগ্নি - পুরুষদের হাত ছিল বাঁধা; চোখে কালো কাপড়ের ফাঁস অথচ এখনও তন্দ্রায় দেখি কোমল এক শিশু; রক্তাক্ত তাকে ফেলে রাখে মশালের আলোয়। যতটুকু সম্বল তা কেড়েও ছাড়ে নি আর আরশোলার মত পিষে মারে অসহায় বৃদ্ধাকে। শুধু বেঁচে ছিলাম আমি, আমাকে মুক্ত করে তুলে দিয়েছিল মহাসড়কে দস্যুর করুণায়, কেননা বাল্যকালে একই বেঞ্চে কাটিয়েছিলাম শেষ ঘণ্টা এ কি তবে দুর্ভাগ্য, অথবা কোন সৌভাগ্যের নাম? ভয়ানক রাত্রি শেষে, বহুরাত্রি ভাবনা আমার তুচ্ছ হয়েছি বেঁচে থাকায়; যে কোন নিয়মে বেঁচে থাকা বিধাতার সর্বোচ্চ আদেশ; তথাপি আমি ঘৃণিত দর্পণে নিজেকে দেখি তস্করের সঙ্গে সখ্যতা আমার জীয়ন কাঠি। অবশিষ্ট জীবন শুধু সারমেয়র অতীব করুণা। জীবনের সঙ্গে নিয়ম মিলে না জানি; দস্যুদল ধৃত হওয়া সময়ের কথা, একদিন অপরাধী এবং আমি আদালতে মুখোমুখি হয়েছি এই সে লোমশ হাত ভোজালিতে কেটে নিয়েছে জন্মদাত্রীর কণ্ঠনালী যে আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছিল রক্ত এড়িয়ে। আমি কোন পক্ষে যাই তবে; কাঠগড়ায় জল্লাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে হলে, একপাশে পিতার কাটা হাত চাপাতির কোপে ছটফট করে; ভগ্নীর অপমান হয়, মৃত পরিবার - তবু কি দস্যুকে বাঁচাতে যাব নিজের জীবনের কৃতজ্ঞতায়? তবে কি স্বার্থপর প্রতিদানে নিজের চাইতে বড় কেউ নেই? --- ড্রাফট ১.০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।