স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষমতাপ্রিয়, জনগনের একান্ত, দেশ-বিদেশের মাননীয়, আমাদের লড়াইমূখী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে আর যেন কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পারে, তা তিনি নিশ্চিত করবেন।
বর্তমানে দেশের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সরকারের অধীনে কাজ করছে তা আমরা সবাই জানি। কেবল আমরা আওয়ামীলীগকারীরাই যাতে আমাদের শত্রু; আমাদের পূর্ব-পুরুষদের শত্রু; বা যে বা যারা আমাদের মিত্রদের সমালোচনা করে তাদেরকে কাতল করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারি তা সংবিধানে যোগ করতে হবে!
আওয়ামী সরকার ছাড়া আর কেউই সশস্ত্র বাহিনীতে যেসব কাতলকারী বা জল্লাদ আছে তাদেরকে ব্যবহার করতে পারবে না তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তন আনা দরকার! যারা এর বিরোধীতা করতে চায় তাদেরকে ফাসি দিতে হবে। আওয়ামীপরাধীদের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল করে - বেলজীয়ামী ঘাদানী বিচারক দিয়ে - এদের ফাসির ব্যবস্হা করতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনী যেমন:- পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীকে 'পে-এজ-ইউ-স্যুট' বা 'যতটাকে মারবে ততটা' বেতন-ভাতায় নিয়োগ করতে হবে।
শিশু-কিশোরদেরকে পোস্টার বানিয়ে আওয়ামীপরাধীদের কঠিন ভাষায় ধিক্কার দিতে হবে। এইসব পোস্টার দেখে ছোট ছেলেমেয়েরা কুৎসিত গালির সঠিক বানান শিখতে পারে যাতে তারও ব্যবস্হা করতে হবে।
বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে কোনো অবস্থাতেই দলীয় স্বার্থ ছাড়া অন্য খাতে ব্যবহৃত হতে না দেয় তারও নিশ্চয়তা করতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীকে যেকোনো ধরনের বিবেক-চেতনা পরিত্যাগ করে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সাধারণ বিবেকের হস্তক্ষেপের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে আমাদের স্বাধীনদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে।
মহামান্য প্রধানমন্ত্রীর মনের অনুভুতি সবার সাথে সেয়ার করা দরকার। বর্তমান সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ আর র্যাব - আমাদের একটি দলীয় প্রতিষ্ঠান। এর নিজস্ব ভাবমূর্তিসহ পেশাগত দিক থেকে বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে যা প্রয়োজন, তা আমদেরই করা দরকার। সশস্ত্র বাহিনীর সব কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনাতে অনাস্হা আনার স্বার্থে একে রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত করা অপরিহার্য বলে আমি মনে করি!
অতীতে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে স্বার্থান্বেষী মহল সশস্ত্র বাহিনীকে যে ভাবে ব্যবহার করেছে আমাদের আওয়ামীদেরও তাই করা দরকার।
সশস্ত্র বাহিনীর পিঠে সওয়ার হয়ে সামরিক শাসন, স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসের খড়্গ নামাতে হবে নিরীহ জনগণের ওপর। এই কয়েকটা করে যে ভাবে নিপাত করা হচ্ছে এভাবে ৩০ লক্ষের বদলা নিতে ১০০ বছরের ও বেশী সময় লাগবে! দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে হবে। এই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ফসল জামাতিরা পাচ্ছে যেহেতু আধিকাংশ সফল, ভেজালমুক্ত প্রতিস্ঠানগুলো তাদেরই!
সশস্ত্র বাহিনীর সব স্তরের চেইন অব কমান্ড আওয়ামী প্রভাব প্রবল রাখতে হবে। আমরা একটা আওয়ামী সশস্ত্র বাহিনী চাই। আওয়ামী না হলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা হবে সুদক্ষ, সুপ্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল।
তাদের কাজে ও চিন্তায় এই মনোভাব প্রতিফলিত হবে। এটা আমাদের জনা বয়ে আনবে অসংখ্য বিপদ!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।