নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা । মানিনা নিষেধ কোনও
আবহাওয়া অফিস বলছে, সতর্ক থাকুন
দশ নম্বর বিপদ সংকেত চতুর্দিকে
কোনও নৌযান যাবেনা ছেড়ে বন্দর ।
আমি নোঙর তুলি অজানায়
নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে যাই
ভয়ঙ্কর দূর্গম আর এক আশ্রয়ের খোঁজে ।
লালবাতি অতিক্রম করে যাবেন না
হুশিয়ারী মোড়ে মোড়ে
ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, উপেক্ষা করে
আমি ছুটি, ঐ যে ভালোবাসার বাস
গেল বুঝি ছেড়ে !
দুর্দান্ত গুন্ডার মতো পেট্রলকার পিছে ধেঁয়ে আসে
আমি ছুটতে থাকি, কেবলই ছুটতে থাকি উর্দ্ধশ্বাসে ।
সংরক্ষিত এলাকা । প্রবেশাধিকার নিষেধ ঝোলানো ফটক ।
আমি একদৌড়ে তবুও টপ্কে যাই নিষিদ্ধ দেয়াল
নীলিমার বুকের চত্বরে ঢুকে পড়ি জানালা গলে
লম্পটের মতো, ট্রেস্পাস করে ফেলি সব নিয়ম কানুন ।
আৎকে ওঠে চীৎকারে, ‘অসভ্য কোথাকার ! কোত্থেকে এলে ?’
হাযার বছর পর চোখ তুলে উত্তরার নীলিমা সেন ।
ধুমপান মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়, ধুমপানে বিষপান,
আমাকে থামাতে পারেনা এমোন উলঙ্গ বিজ্ঞাপন ।
আমার ধুমপান দিনেদিনে বাড়ে
নীলিমা যেদিন তার প্রেম নিয়ে গেল কেড়ে ।
আমি মৃত্যুর ঝুঁকি নিই, হৃদরোগে ভুগি
তবুও নীলিমা ফেরেনা কোনও পিছুটানে ।
একশো চুয়াল্লিশ ধারা জারী । মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ ।
আমি তোয়াক্কা করিনা কিছুই
সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখাই,
হৃদয়ের পল্টনে জমা করি স্বপ্নের বর্ণমালা
কবিতার মিছিল নিয়ে বাধা ভেঙ্গে যাই
নীলিমা চেয়েও দেখেনা, দেখেনা ছুয়েঁ ।
বিপদজনক । ৪০০০ ভোল্ট ।
লট্কে থাকা টিনের ছবিতে আড়াআড়ি
দু’টো হাড়ের উপরে খুলির চোখ যেন জ্বলে,
বলে সাবধান ।
আমি ট্রান্সফরমারে হাত রাখি, শুষে নিই তাপ,
লোডশেডিঙ্ হয়ে যায় বিশ্বময়, শুধূ আমি
পুড়ে ছাই হই, চিতার অনলে জ্বলি
তবুও ভালোবাসা মরেনা, পদ্মনাভির মতোন
চেয়ে থাকে জুলুজুলু চোখে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।