জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, “শাহবাগ দেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, এদের থামান। তিনি আমার কথা শুনেননি। শাহবাগের কারণে হেফাজতের সৃষ্টি হয়েছে। আর হেফাজতের কারণেই গাজীপুরসহ অন্যান্য সিটি নির্বাচনে সরকারকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।
”
এরশাদ বলেন, “হু ইজ ইমরান। সে পতাকা তোলার কে, সে নির্দেশ দেয়ার কে। ”
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয় পার্টির তথ্য উপস্থাপন বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গাজীপুর সিটি নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কতগুলো পুলিশ ছিল আমরা জানি, কে কী করেছে তাও জানি। মানুষের মন থেকে একবার কেউ উঠে গেলে কোনোকিছুই আর কাজে আসে না।
”
এরশাদ বলেন, “দেশে ২৩ বছরের শাসনে প্রমাণিত হয়েছে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা ব্যর্থ। এখন প্রয়োজন এসেছে আবার রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার। ”
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, “আমি যা জানি তোমরা তা জান না, আমি যা বুঝি তোমরা তা বুঝ না। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মহাজোটকে সমর্থন দেয়ায় পার্টির কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং লাভ হয়েছে। এ ঘোষণায় জাপার ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে।
তোমরা এখন বুঝছো না। যেদিন ক্ষমতায় আসবে সেদিন বুঝবে। ”
এরশাদ বলেন, “আমি জাতীয় পার্টিকে কারো চেয়ে কম ভালোবাসি না। এ পার্টির জন্য আমি জেলে গেছি। পার্টিকে এবার আমি ক্ষমতায় নিতে চাই।
গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে মহাজোটকে সমর্থন দেয়া ছিল আমার একক সিদ্ধান্ত। আমি কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ওই সিদ্ধান্ত নিইনি। তোমাদের ভুল একদিন ভাঙবে। আমি আজ বলবো না, একদিন তোমরা জানতে পারবে। ”
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে দেশ ও দেশের মানুষ বড়।
তারা সবার আগে। আমি সব সময় বলি, এখনো বলছি এবং বিশ্বাস করি, সবার উপরে দেশ ও দেশের মানুষ। জাতীয় পার্টি আর কারো ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না। ”
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, “জাতীয় পার্টি একমাত্র দল যে দলটি গণমানুষের চাওয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেজন্য আমিই দেশে প্রথম জাতীয় পার্টি রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক উইং প্রতিষ্ঠা করেছি।
স্ট্র্যাটেজিক স্কলার এবং বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করা ববি হাজ্জাজ এর নেতৃত্ব দিচ্ছে। ”
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপস্থাপন করেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সাবেক পরামর্শক অক্সফোর্ড স্কলার ববি হাজ্জাজ। তিনি জাতীয় পার্টির রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক উইং’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমদে বাবলু, এম এ সাত্তার, মুজিবুল হক চন্নু, এসএম এ আলম, এস এম ফয়সাল চিশতী, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।