সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য অন্য পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ডাকতে যাওয়ার সময় আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত শ্রমিকের নাম মো. সোহাগ (২৫)। তিনি পূর্ব রামপুরার রিভিয়েরা রিসোর্সের শ্রমিক ছিলেন। এ ঘটনায় একজন পথচারীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
একই সময় বাড্ডা এলাকায় গুলিতে একটি ডায়িং কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহত হন।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান নামের এক পোশাকশ্রমিক জানান, আজ বিকেলে আফতাবনগরে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে সমাবেশ ডাকা হয়। সেই সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর ছুটি দেওয়া হয় রিভিয়েরা রিসোর্সেস ও এর পাশের একই মালিকের কারখানা ফ্যাশন আইল্যান্ডে। ছুটি পেয়ে তাঁরা দল বেঁধে পাশেই তুবা গ্রুপের (গত বছরের নভেম্বরে আগুনে পুড়ে যাওয়া তাজরীন ফ্যাশনসের মালিকের প্রতিষ্ঠান) একটি কারখানায় শ্রমিকদের ডাকতে যান। তুবার কারখানার কাছে যাওয়ার পরে বেলা তিনটার দিকে ২০-৩০ জন লোক শ্রমিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
তাদের একজন পিস্তল বের করে বলে, ‘কারখানায় আসবি তো গুলি করে দেব। ’ কথা শেষ হতে না-হতেই সেই অস্ত্রধারী গুলি করে। একটি গুলি লাগে সোহাগের মাথায়। সোহাগ মাটিতে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
একই সময় ছোড়া গুলিতে পথচারী ছাপা কারখানার শ্রমিক শরীফুল ইসলাম (২৫) ডান বাহুতে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি দুপুরের খাবার খেতে বাসায় যাচ্ছিলেন।
পোশাকশ্রমিকদের ধারণা, কারখানার মালিকের ঘনিষ্ঠ ঝুট-সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাবুল আক্তারের অভিযোগ, কারখানার মালিকের পোষা মাস্তানেরা শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
এদিকে একই সময়ে দক্ষিণ বাড্ডায় সুপার ডায়িং অ্যান্ড থ্রেড নামের একটি কারখানায় ঢুকে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতিকুল ইসলামের দুই পায়ে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। আতিকুল ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। এই কারখানার কর্মী মো. ইব্রাহিম জানান, তিনজন লোক কারখানায় এসে কথা বলতে বলতে আতিকুলকে গুলি করে। তবে কী নিয়ে কথা হচ্ছিল, তা তিনি জানেন না। এক শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক আবদুল জলিল জানান, তাঁরা ঘটনাগুলো জেনেছেন। তবে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ জানায়নি।
এ বিষয়ে জানতে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। থানায় ফোন করা হলে ওয়্যারলেস অপারেটর ইসাহাক ফোনটি ধরেন। প্রথম আলো ডটকম থেকে শোনার পরই তিনি ফোনটি কেটে দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।