ছোটবেলা থেকেই ঘুরে বেড়াতে খুব পছন্দ করি। একটু বড় হয়ে এর সাথে যুক্ত হ’লো পড়া ও লেখালেখি, তারপর ফোটগ্রাফি। মতিঝিলে গণজাগরণ মঞ্চবিরোধী হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরাও যোগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানে দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা।
রাজনৈতিক বক্তব্য না দেয়ার শর্তে এই সমাবেশের অনুমতি পেলেও হেফাজতকর্মী ও সমাবেশে আগতদের কণ্ঠে শোনা গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও আশেপাশের অঞ্চলগুলো থেকে সকালেই মিছিল নিয়ে মতিঝিলে জড়ো হতে থাকেন হেফাজত কর্মীরা।
এ সময় বেশিরভাগ নেতাকর্মীর পরনে দীর্ঘ পাজামা-পঞ্জাবীর সঙ্গে মাথায় টুপি দেখা গেলেও মাঝে মধ্যে জিন্স প্যান্ট-শার্ট পরিহিত পরিষ্কারভাবে দাঁড়ি কামানো কিছু মুখও দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে ইত্তেফাকের মোড় থেকে স্লোগান দিতে দিতে বেশ কয়েকটি মিছিল মতিঝিলের সমাবেশে যোগ দেয়, যাদের পোশাক ছিল হেফাজত কের্মীদের চেয়ে একেবারেই আলাদা।
এ সময় তাদের হাতে কোনো ব্যানার ছিল না। নিজেদের পরিচয়ও তারা জানাননি।
মতিঝিল এলাকায় দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সামেবেশে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীরাও যোগ দিচ্ছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।
এ বিষয়ে পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে। ”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আগেই হেফাজতের এই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে। মতিঝিলের সমাবেশে খাবার, পানি, স্যালাইন ও শরবত সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের একটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পও বসানো হয়েছে মতিঝিল এলাকায়।
সমাবেশে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য না দেয়ার শর্ত থাকলেও শাপলা চত্বরের এক পাশে সমাবেশ থেকে ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘চলো চলো শাহবাগ চলো’সহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান শোনা যায়।
সরকারের মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, হেফাজতে ইসলাম আসলে জামায়াতকেই ‘হেফাজত’ করতে চাইছে। তাদের কর্মসূচিতে জামায়াত কর্মীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতারও অভিযোগ এসেছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সমাবেশের সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান সাঈদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক কামাল তালুকদারকে বলেন, “আমরাতো সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সহ সব দলের মানুষই সমাবেশে এসে আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন। ”
এদিকে সমাবেশ চলাকালে পল্টনের ইউবিএল ক্রসিং এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে প্রেসক্লাবের দিকের সড়ক বন্ধ করে দিলে হেফাজত কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
তারা একপাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ব্যারিকেডের কারণে তাদের কর্মীদের সমাবেশে আসতে সমস্যা হচ্ছে।
পুলিশ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে হেফাজত কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে এবং প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কিছু কর্মী সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করছিলেন।
শাপলা চত্বর থেকে নটর ডেম কলেজ-আরামবাগ হয়ে ফকিরাপুল ক্রসিং পর্যন্ত এই সমাবেশ করার অনুমতি থাকলেও দুপুরের আগেই জমায়াতের সীমানা নির্ধারিত সীমানা পার হয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।