নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি অনুষদের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৩০ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এবছর একাডেমিক ক্যালেন্ডারে দেয়া তারিখ থেকে একমাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়।
পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেয়ায় ইতোমধ্যে সেশন জট সৃস্টি হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সিলেবাস এখনো শেষ হয়নি।
ক্লাস চালুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
সমাবেশে বক্তব্য দেন নোবিপ্রবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্র অরূপ ঘোষ, ইংরেজির অনিক ঘোষ, রেজবিন সুলতানা, ফাতেমা ফারহানা, গণিতের রেজাউল করিম সোহাগ প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে রূপান্তরসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৮ জুন বিভাগের দুই প্রভাষককে ১৮ ঘণ্টা একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ৩০ জুন থেকে পাঠদান বন্ধ রাখেন শিক্ষকরা।
এ ঘটনার জেরে ১০ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, দুই ছাত্রের জরিমানা এবং বিভাগটির একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর উপাচার্যের কক্ষ ও প্রশাসনিক ভবনে ভাংচুর এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।