Avwg mevi Rb¨ wKQy Ki‡Z PvB
আমি তখন কুমিল্লায় থাকি। সবে মাত্র কুমিল্লা হাই স্কুলে কাস টেন এ উঠেছি। প্রতিদিন স্কুলে যাই । আমাদের পাশের বাড়ির একটি মেয়েও ঐ স্কুলে পড়ে । সে এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দেবে।
মেয়েটির নাম মিতা, দেখতে খুবই সুন্দরী।
প্রতিদিন স্কুলে গেলে তার সাথে দেখা হয়। সে আমার চাইতে বয়সে বড় তাই আমার কাছে আসতে কোন প্রকার সংকোচ বোধ করে না । তার বাড়ির বারান্দ আমাদের জানালা থেকে স্পষ্ট দেখা যায়, কিন্তু সে কখনও বারান্দায় বিনা কারনে আসেনা , শুধু মাত্র কাপড় রোদ্রে দিতে আসে । আবার সন্ধ্যা বেলা এসে কাপড় গুলো নিয়ে যায়।
তো এভাবে তাকে দেখতাম আমি । কিছু দিন পর তার পরীক্ষা শেষ হয় এরপর রেজাল্ট। কলেজে ভর্তির জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে সে । এরপর আরো কিছু দিন এভাবে চলে, কিন্তু কলেজে ভর্তির পর তার বারান্দায় আসা বেরে যায় । আমি তখন তাকে শুধু বারান্দায়ই
দেখতাম, কেননা সে তো আর এখন স্কুলে যায়না।
তো আমি প্রতিদিনই খেয়াল করতাম তার শরীরের একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে এ কয়েক মাসে। এর পর আস্তে আস্তে আমি তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা শুরু করি । তাদের বারান্দা এবং আমাদের জানালা একেবারে কাছাকাছি হওয়ায় কথা বলা তো কি হাতও ধরার সুবিধা আছে। কিন্তু কখনো সাহস করে ও ভাবে কথা বলতে পারিনি। শুধু মাত্র (কেমন আছেন, ভালো আছেন কিনা)এই আর কি।
একদিন জানালা দিয়ে শুনছি সে গান শুনছে । এমন সময় আমি জানালায় দাড়িয়ে ছিলাম , সেও বারান্দায় আসে। তখন সে নিজে থেকেই আমার সাথে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করছে। কথাগুলো ছিল এরকমঃ-
মিতাঃ-(একটু মুচকি হাসি দিয়ে ) কেমন আছো তুমি।
রায়হানঃ- এইতো ভালো , তা আপনি কেমন আছেন।
মিতাঃ- আমিও ভালো । তা তুমি স্কুলে যাওতো ঠিক মত।
রায়হানঃ- হ্যা যাই । আপনিতো আর এখন স্কুলে যাননা তাই দেখা হয় না । কলেজে গিয়ে আমাদের কথা তো একে বারেই ভুলে গেছেন।
মিতাঃ- না ভুলি নাই। তোমাদের কাসের সবাইকেই আমার মনে পড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।