আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি কাল রাত ১০.৩০ থেকে রুমি স্কোয়াডের ৯ জন জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অনশন করছে। তারা জানে না আদৌ জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হবে কিনা? হলেও কবে হবে তাও জানে না? এক অনিশ্চয়তার মাঝে তারা নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করতেছে। তারা নিজেদের জীবনের মায়া ভুলে গেছে ভবিষ্যতের প্রজন্মের কথা ভেবে, নিজেদের কলঙ্কমুক্ত করার কথা ভেবে। আমিও চাই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামাত- শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হোক। এবং এই চাওয়ার পিছনের কারনগুলো নিচে দিলামঃ-
১) জামায়াতে ইসলাম সংঘটন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে।
২) ১৯৭১ সালে জামায়েত ইসলামের অনেক নেতা কর্মী গনহত্যা, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি ইত্যাদি অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো।
৩) বাংলাদেশে পুনর্জন্ম হওয়া এই দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রায় সবারই মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা ছিল, এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের নেতা কর্মীদের ভুল আদর্শে দীক্ষিত করেছে।
৪) জামায়েতে ইসলামী তাদের নেতা কর্মীদের গেরিলা ট্রেনিং দেয় যা রীতিমত অবিশ্বাস্য।
৫)জামায়েতে ইসলামী নানা ভাবে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামকে অবমাননা করে। যেমনঃ- জামায়েত ইসলামীকে ভোট দিলে জান্নাত পাওয়া যাবে, সাইদিকে চাঁদে দেখা গেছে, কাবা শরীফের ইমামদের জড়িয়ে মিথ্যাচার, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ঈমান থাকবে না,জামায়েত ইসলামের নেতাদের ধর্মীয় নেতা বানানোর অপচেষ্টা, শোলাকিয়ার ইমামের পিছনে নামাজ পড়া হারাম ইত্যাদি আরো অসংখ্য মিথ্যাচার।
৬)জামায়েত ইসলাম সবসময় মিথ্যাচার করে দাঙ্গা লাগিয়ে দেশের ক্ষতি করতে চায়। যেমন,কাদিয়ানীদের সাথে দাঙ্গা, রামুর দাঙ্গা, সাইদিকে চাঁদে দেখা নিয়ে সৃষ্ট দাঙ্গা ।
৭) তারা কখনো বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করতে পারে নাই তাই তাদের বার বার শহিদ মিনার আর জাতীয় পতাকার উপর আক্রোশ।
৮) মুক্তিযুদ্ধে তাদের অপকর্মের জন্য কখনো ক্ষমা না চাওয়া উলটো মুক্তিযুদ্ধকে নিয়েই কটু কথা বলা।
৯) মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা।
যেমনঃ- ৭১ এ নাকি গণ্ডগোল হইছে, পাক-ভারত যুদ্ধের ফলে নাকি বাংলাদেশের জন্ম, মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের টাকা খেয়ে নাকি যুদ্ধ করছে ইত্যাদি আরো নানা অদ্ভুত মিথ্যাচার।
১০) সর্বোপরি মওদুদির বাতিল পন্থা আঁকড়ে ধরে রাখা।
উপরোক্ত একটা কারণও যেখানে মেনে নেওয়া কষ্টকর সেখানে মাশাল্লাহ জামাতের মধ্যে সব ত্রুটিই বিদ্যমান। আমি ওদেরকে নিষিদ্ধ না করানোর পিছনে কোন যুক্তি পাচ্ছি না। আপনাদের কাছে কি কোন যুক্তি আছে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।