ব্যালট পেপারে প্রার্থীর প্রতীকে ‘সিল’ মারার পরিবর্তে ‘টিক’ চিহ্ন দেওয়ার বিধান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই পদ্ধতি ব্যবহার হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সিলের পাশাপাশি টিক চিহ্ন ব্যবহারের বিধান রাখা হবে।
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্য চার কমিশনার এবং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, হালনাগাদ কর্মসূচির আওতায় নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া ৭০ লাখের বেশি ভোটারকে দুই মাসের মধ্যে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। নতুন ভোটাররা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে তাঁদের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮ হাজারের বেশি ভোট বাতিল হওয়ার কারণে কমিশন সিলের বদলে কলম দিয়ে টিক চিহ্ন দেওয়ার বিধান চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে কমিশন সচিবালয় থেকে বৈঠকে বলা হয়েছে, টিক চিহ্ন দেওয়ার পদ্ধতি পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হলে কমিশনের ব্যয়ও কমে যাবে। কারণ, নতুন পদ্ধতিতে সিল ও প্যাডের ব্যবহার থাকবে না।
বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে সিলের পরিবর্তে টিক চিহ্ন দিয়ে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি চালু করার চিন্তা করছে কমিশন। উন্নত দেশগুলোর অনুকরণে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ছোটখাটো নির্বাচনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এতে বাতিল ভোটের পরিমাণ কমে যাবে বলে আশা করা যায়।
জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, সিলের ব্যবহারের কারণে অনেক ভোট নষ্ট হয়, বাতিল ভোটের সংখ্যা বাড়ে।
যে কারণে কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে সিল ও টিক দুটোরই বিধান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য যথাসময়ে ভোটার তালিকা বিধিমালা সংশোধন করা হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।