এবার মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পৌনে ৬শ’র মতো। এরমধ্যে ১৫১ আসনে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
শনিবার ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা জানিয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে দেড়শ আসনে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন।
১৫১ জনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের ১২৭, জাতীয় পার্টি ১৮, জাসদ ৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ২ ও জেপি’র একজন রয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচিত ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
একই সঙ্গে একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি ভোটের ৩২ ঘণ্টা পূর্ব [৪ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে] পর্যন্ত চালানো যাবে প্রচারণা।
২৫ নভেম্ব ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর আপিল করার সুযোগ ছিল তিন দিন।
এরপর ইসি আপিল শুনানি করে তিন দিন, ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৈধ প্রার্থীদের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল।
প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থীদের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়, যারা ৫ জানুয়ারি ভোটে অংশ নেবেন। এরমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের আসনে ভোটের প্রয়োজন হবে না।
প্রতিদ্বন্দ্বী পৌনে ৬শ’
শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দাঁড়িয়েছে পৌনে ছয়শ’ জন।
এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী শ’ খানেক। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী ১৫১ জন।
২৫৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নিয়ে ১১শ’ ৭ জন মনোনয়ন দাখিল করেন।
এরপর বাছাই ২৬০ জনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাদ পড়ে বৈধ প্রার্থী থাকে ৮৪৭ জন। মনোনয়ন বাতিল ও গ্রহণ হওয়া প্রার্থীদের আপিল শুনানি শেষে আরো যোগ হয় অন্তত ৩৩ জন প্রার্থী।
৮৮০ বৈধ প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত ১২টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে অন্তত ৩০০ প্রার্থী শুক্রবার পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা জানায়, মনোনয়ন দাখিলের পর সব প্রক্রিয়া শেষে দশম সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৫৮০ জন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
এরমধ্যে ১৫১ আসনে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। ফলে বাকি আসনগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হবে।
প্রত্যাহার তিনশ’
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়াদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১, জাতীয় পার্টি ১৪৯, জাতীয় পার্টি-জেপি ১৯, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ১৯, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪৪, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট ১০, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৪, বাংলাদেশ তরিক ফেডারেশন ৬, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-৩, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ৬, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৭ ও স্বতন্ত্র ৩১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
ভোটে নেই আরো চার দল
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র নির্বাচন বর্জনের মুখে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দশম সংসদে ২০টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে বিরোধী দলের শরিক ও সমমনা দুটি দলের পক্ষ থেকেও মনোনয়ন দাখিল করা হয়।
তবে তাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
দলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, খেলাফত মজলিস।
১৬ দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটে
শেষ পর্যন্ত ভোটে রয়েছে ১৬টি দল।
এগুলো হলো- জাতীয় পার্টি- জেপি, আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট।
এ নির্বাচনে ৪ শতাধিক দলীয় প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেড় শতাধিক রয়েছে।
যা গত ৯টি সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। দশম সংসদ নির্বাচনে এবার মাত্র পৌনে ছয়শ’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনেও ১১ শতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল।
প্রতীক বরাদ্দ
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দলীয় প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট দলের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে জোটভুক্তদের বিষয়ে জোটের সভাপতির সম্মতিতে প্রতীক দেওয়া হয়েছে অন্যদলকে। এক্ষেত্রে একই আসনে জোটের একাধিক প্রার্থী থাকলে তারা নিজ নিজ দলীয় প্রতীক পাবে।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের চাহিদা মতো প্রতীক [দলের সংরক্ষিত ছাড়া] পাবে। তবে একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে তা লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।