ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জরিপের ফলাফল বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যনির্ভর নয়, দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। আজ বুধবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদের সই করা লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে টিআইবির জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ মানুষের ধারণা দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ।
বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, এই জরিপে যাঁরা মতামত দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন বা আদৌ কেউ প্রত্যক্ষভাবে পুলিশি সেবা নিতে গিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ফলে শুধু শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা ওই প্রতিবেদনের যৌক্তিকতা বা নির্ভুলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পুলিশ সবচেয়ে দৃশ্যমান পেশাদারি সংস্থা। পথেঘাটে দায়িত্বরত পুলিশের সামান্যতম ভুলভ্রান্তিও মানুষের চোখে পড়ে। তাই অনেক ক্ষেত্রে চার দেয়ালের আড়ালে পুলিশের চেয়ে অধিকতর দুর্নীতি যদি অন্য কোনো সংস্থা করেও থাকে, তবে তা নজরে আসে না।
এ কারণে প্রকাশিত ফল বাস্তবতার পূর্ণ প্রতিফলন হতে পারে না।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সার্বিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠান নয়, তার কোনো অংশ মাত্র দুর্নীতির সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষের দুর্নীতি বা অপকর্মের দায় কোনোভাবেই পুরো প্রতিষ্ঠানের ওপর বর্তায় না।
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, শুধু সেবা খাতের দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও সেনাবাহিনীকে ৩২ শতাংশ লোক দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মত প্রকাশ করেছে। অথচ সেনাবাহিনী কোনোভাবেই সেবা খাতের মধ্যে পড়ে না।
এতে বোঝা যায়, সেনাবাহিনীর মতো একটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।