বাংলাদেশে ২০১৫ সালের পর ওষুধের দাম তিন থেকে ২০ গুণ বাড়বে। জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশের নাগালের বাইরে থাকবে ওষুধের দাম। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নারী ও শিশু। এ কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।
গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশীয় সোশ্যাল ফোরামের একটি অধিবেশনে এ কথা বলা হয়।
‘হেলথ ফোরাম’ নামের এই অধিবেশনের আয়োজন করে বাংলাদেশের কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ওষুধ প্রযুক্তি অনুষদের ডিন আ ব ম ফারুক বলেন, ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট মেধাস্বত্ব অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (ট্রিপস) অনুযায়ী বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো ২০১৫ সাল পর্যন্ত মেধাস্বত্ব না মেনে ওষুধ উৎপাদন করতে পারবে। এখনো সেই সুবিধা পাচ্ছে বলে বাংলাদেশে ওষুধের দাম কম। ২০১৬ সাল থেকে মেধাস্বত্ব মেনে ওষুধ উৎপাদন করতে গেলে খরচ বাড়বে। অন্যদিকে বিদেশি ওষুধে এ দেশের বাজার সয়লাভ হবে।
করণীয় বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আ ব ম ফারুক বলেন, সবাইকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। চুক্তির সময়কাল অন্তত আরও ১৫ বছর বাড়ানোর চেষ্টা চালাতে হবে। জনমানুষকে সেই প্রচেষ্টায় শামিল করার উদ্যোগ নিতে হবে।
সোশ্যাল ফোরাম শুরু হয়েছে ১৯ নভেম্বর। গতকাল পর্যন্ত ৪৪টি দেশের এক হাজার ২০০ বিদেশি প্রতিনিধি ফোরামে যোগ দিতে ঢাকা এসেছেন।
২০১৫ সালের পর ওষুধের দাম বাড়বে, জনস্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।