একলা ছিলুম বিকেল বেলা...বিকেল তবু একলা ছিল না...!! ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মুক্তভাবে ইন্টারনেট চর্চা বহাল থাকছে। এর আগে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ হতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট মুক্ত রাখার বিষয়ে সবাই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সংযুক্ত আরব ও আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সম্মেলনে (ডব্লিউসিআইটি) ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণ আরোপের আশঙ্কা করা ছিল। অবশেষে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ তথ্য নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে দফারফায় প্রচলিত আইন প্রয়োগ করা হবে। সম্মেলনের শুরু থেকেই চীন, ভারত, রাশিয়ার মতো দেশগুলো ইন্টারনেটের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে শেষ পর্যন্ত এ বিরোধিতা আলোচনায় টেকেনি। ডব্লিউসিআইটি সম্মেলন হওয়ার আগেও বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলসহ বিশ্বব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ছাড়া নীতিনির্ধারকদের কাছেও ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের পক্ষে তেমন শক্ত যুক্তি ছিল না।
তাই আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) নিয়ন্ত্রিত ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম রেগুলেশনসের (আইটিআর) করা ১৯৮৮ সালে সর্বশেষ ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ আইনটিই আগামী তিন বছরের জন্য মেনে চলার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও তথ্যের অপব্যবহার প্রতিরোধে নির্দিষ্ট দেশের সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সম্মেলনে অংশ নেওয়া গবেষক মিলটন ম্যুয়েলার বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ক্ষতিকর। দুই সপ্তাহের সম্মেলনে প্রচলিত আইনের তেমন পরিবর্তন না আসায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরওপর তেমন চাপ আসছে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।