ঘরোয়া পরিবেশে, আড্ডায়, আপ্যায়নে চা না হলে চলেই না। তাই বলে ছাগলের চা-পানের ঘটনা একটু ব্যতিক্রম বৈকি। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার রাউতি গ্রামে গৃহপালিত একটি ছাগলকে প্রতিদিন সাত-আট পেয়ালা (কাপ) চা গলাধঃকরণ করতে দেখা গেছে।
গত শনিবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে ছাগলের চা-পানের দৃশ্য দেখা গেছে। রাউতি (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শওকত হোসেন খান (৪৬) পেশায় মুঠোফোনের ব্যবসায়ী।
শখের বশে মাস তিনেক আগে পুরুড়া বাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় ছাগলটি কিনেছিলেন। বাড়ি আনার কয়েক দিনের মধ্যেই ছাগলটি মালিকের ভক্ত হয়ে পড়ে। শুরুতে বাড়িতে ছোটাছুটি করত। পরে মালিকের পিছু পিছু হেঁটে বাড়ির অদূরে গ্রামের গাবতলা মোড় বাজারে আসা-যাওয়া শুরু করে প্রাণীটি।
মালিকের দোকানে গিয়ে বসে থাকত প্রায়ই।
লোকজন চা-পান শেষে পেয়ালা টেবিলের নিচে নামিয়ে রাখলে সেই পেয়ালায় থাকা অবশিষ্ট চা মাঝেমধ্যে জিহ্বা দিয়ে পরখ করত ছাগলটি। এভাবেই ধীরে ধীরে চায়ের নেশায় পেয়ে বসে তাকে।
মালিক ছাগলটির নাম রেখেছেন ‘লালু’। দুই মাস ধরে লালু চা-পান করে চলেছে। দোকানে চায়ের আড্ডা হলে লালুর চা চাই-ই চাই।
চা না দিলে প্রাণীটি তার মালিকের গায়ে মাথা দিয়ে গুঁতো দিয়ে জানান দেয়, তার চা চাই। তাই দোকানে চা এলে লালুর জন্য আলাদা পেয়ালায় চা আনা হয়।
প্রায় আট মাস বয়সী ছাগলটি লতাপাতাজাতীয় খাবার ছাড়াও চাল, ভাত, ভুসি, কলাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা খায়।
গাবতলা বাজারের চা-বিক্রেতা খোকন মিয়া (২৫) বলেন, ‘আমার দোকান থেকে প্রতিদিন শুধু ওই ছাগলের জন্য সাত-আট কাপ র-চা বিক্রি করি।
এই ঘটনা নিয়ে এত লাফালাফি করার কি আছে?? দেশে এর চেয়েও উন্নত প্রজাতির ছাগল বিদ্যমান।
আজকাল তাদের ব্লগিং করতে হরহামেশাই দেখা যায় । ব্লগিয় পরিভাষায় তাদের ছাগু নামে ডাকা হয়। যা খুবি দঃখের বিষয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।