কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম
কয়েকদিন আগে দৈনিক প্রথম আলোয় আমেরিকায় ক্যান্সার নামক ঘাতক ব্যাধির চিকিৎসারত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের 'সংসার' নামে একটি লেখা পড়লাম। ওনার সাম্প্রতিক ভাবনার আলোকে ঝরঝরে লেখাটি যথারীতি ভাল লাগল। দেশের পাঠকরা হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে একটা ধারণাও পেলেন।
তবে খটকা লাগল এক জায়গায় যেখানে তিনি তাঁর স্ত্রী শাওনের খরচ নিয়ে উৎকন্ঠার প্রসঙ্গটি তুললেন। হুমায়ূন আহমেদের মত একজন দেশের শীর্ষস্থানীয় লেখক তার লেখায় এই বিষয়টি তুলবেন সেটা অন্যেরা কে কিভাবে নিয়েছেন জানি না- তবে আমার কাছে বেখাপ্পা লেখেছিল এবং এর পিছনে কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে মনে হল।
ঐদিনই ব্লগে সেটা শেয়ার করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সময় পাই নাই।
আজকে প্রথম আলোয় সেই লেখাটির ধারাবাহিকতায় 'নো ফ্রি লাঞ্চ' শিরোনামে দ্বিতীয় লেখাটি পড়লাম। না চাইলেও আমার ধারণাটাই মনে হচ্ছে সত্যি হয়ে গেল- তিনি বুঝিয়ে দিলেন, আমেরিকায় এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা তার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তিনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভরসায় চিকিৎসায় রাজী হয়েছেন।
গত প্রায় দুই যুগ ধরে বইমেলা মানেই হুমায়ূন আহমেদের বই।
এক হুমায়ূন আহমেদের বই যে পরিমাণ বিক্রি হয়- জনপ্রিয়তার দিক থেকে পরবর্তী দশজন লেখকের বইও সম্মিলিতভাবে সেই পরিমাণ হয় না বলে আমার সন্দেহ। প্রকাশকরা তাঁর বই নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি করেন বলে তাঁর লেখা থেকেই জেনেছি। তাছাড়া টিভি নাটক, চলচ্চিত্র, পত্রপত্রিকার লেখা ইত্যাদি থেকে আয় করে হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী সাহিত্যিক ও নির্মাতা বলেই আমার বিশ্বাস ছিল।
কিন্তু আমার অন্যতম প্রিয় লেখক যেভাবে চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রচ্ছন্ন আবেদন রাখলেন তাতে এই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অন্যান্য কবি-সাহিত্যিক-নির্মাতাদের অবস্থা কল্পনা করে আমি লজ্জিত হচ্ছি! আসুন আমরা হুমায়ূন আহমেদের জন্য সাহায্য করি যাতে ওনার দুটো গাড়ি বিক্রি করতে না হয়, নুহাশ পল্লী হাতছাড়া না হয়ে যায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।