চোট পেয়েছিলেন প্রথম ম্যাচেই। দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। সেই ধোনিই সবাইকে চমকে দিয়ে ফাইনালে টস করলেন, তাতে জিতলেন। শেষ পর্যন্ত শিরোপাও এনে দিলেন দলকে।
রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গত রাতে এক উইকেটের জয় পায় ভারত।
ম্যাচের পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল নাটকীয়তা। শেষের দিকে তা রূপ নেয় স্নায়ুক্ষয়ীতে।
নাটকীয়তার শুরু ম্যাচের গোড়া থেকে। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া ভারতের শুভসূচনা, এরপর সাঙ্গাকারা-থিরিমান্নের ব্যাটে শ্রীলঙ্কার ঘুরে দাঁড়ানো। একসময় ৩০০ কেও মনে হচ্ছিল না অসম্ভব।
কিন্তু ভয়াবহ এক ধসে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় মাত্র ২০১ রানে।
নাটকীয়তার কমতি ছিল না ভারতের ইনিংসেও। ২০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা। ২৭ রানের মধ্যে দুটি উইকেটের পতন ঘটে। ৩ উইকেট নিয়ে ১৩০ রান পেরিয়ে যায় ভারত।
তখনো রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না, অধিনায়ক ধোনি ও অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার উইকেট অক্ষত। মনে হচ্ছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপাও এখন ভারতীয়দের জন্য কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে দ্রুতই পাল্টে গেল দৃশ্যপট। হঠাত্ উইকেট বিসর্জনের খেলায় মেতে উঠলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা হলো ইনিংসের গোড়া থেকে ভারতের হাল ধরে থাকা রোহিত শর্মাকে (৫৮) দিয়ে।
দলীয় সংগ্রহ তখন ১৩৯ রান। শর্মাকে দীর্ঘক্ষণ সঙ্গ দেওয়া রায়না (৩২) ফিরলেন দলীয় সংগ্রহে ছয় রান যোগ হতেই। এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৮২ রান! নাটকীয় ম্যাচ রূপ নেয় স্নায়ুক্ষয়ীতে। উইকেটে তখন ধোনির সঙ্গী ইশান্ত শর্মা। ভারতের ভাগ্য যেন সূক্ষ্ম সুতোর ওপর দাঁড়িয়ে।
যেকোনো মুহূর্তে সেটা ছিঁড়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় কঠিন পরীক্ষাটা দিলেন অধিনায়ক ধোনি। দলকে টেনে তুললেন কাদের কিনারা থেকে। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। তবে ৪৯তম ওভারের প্রায় পুরোটাই ‘নষ্ট’ করেন ইশান্ত, সমর্থ হন দলীয় সংগ্রহে মাত্র দুই রান যোগ করতে।
অন্যপ্রান্তে থাকা ধোনির ওভারজুড়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ ছাড়া কিছু করার ছিল না। শেষ ওভারের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ রান। ভাগ্যিস, স্ট্রাইকিংয়ে ছিলেন ধোনি। প্রথম বলে কোনো রান হয়নি। তবে পরের তিন বলে দুই ছক্কা আর এক চারে নিশ্চিত করেন জয়।
৫২ বলে অপরাজিত ৪৫ করা ধোনি স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচিত হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। ইশান্ত শর্মা অপরাজিত থাকেন ৭ বলে দুই রান নিয়ে। সূত্র: ক্রিকইনফো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।