প্রথমত আমি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি টু্রিজমের উপর কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। এ ব্যাপারে কেউ সাহায্য করলে চির কৃতার্থ থাকব। http://www.facebook.com/saintmartinbangladesh
দ্বিতীয় পর্ব
যাওয়ার আগে অনেকের কাছেই বলে গিয়েছিলাম । যাচ্ছি।
ফিরে এসে ব্লগ দেবো বলেও কথা ছিল।
সেন্ট মার্টিন সার্ভিসের মুশতাক মামা
বাসে উঠলাম সবার আগে। বাস টিকেটে ৫০% ডিসকাউন্ট ছিল। লোকালের ভাড়ায় মার্সিডিজএ।
কুমিল্লা হোটেল নূরজাহানে কর্মরত এই লোকটির সাথে পরিচয় হলো, নাম আব্দুল আলীম
ইনানী রিসোর্টে যাত্রা বিরতি।
সকালে এসে কক্সবাজারে পৌঁছলাম।
কিছুক্ষন ঘুমিয়ে গেলাম বীচে।
সবাইকে দেখে আমারও ঘোড়ায় উঠতে মন চাইল....।
এটা ড্রাইভ করতে ভয় পাই আমি।
দাড়ান, এই চান্সে একটা ফ্রি কিক করে আসি।
এখানে আরাম করতে চাইলে ঘন্টায় ৫০ টাকা
প্রতি হালি ৮ টাকা। লাগলে বলবেন।
এই শীতে ৫০০ টাকা পেলেও বীচে নামা আমার জন্য সম্ভব ছিল না।
স্পীডবোটে জনপ্রতি ৫০ টাকা নিবে। সময় বড় জোর সাত আট মিনিট।
ভালো লাগল ওদের দেখে, সত্যি বলতে ওরা খুব এনজয় করছিল।
এরপর ইচ্ছে হলো, একটু পাহাড়ের উপর থেকে দেখি, দৃশ্যটা কেমন দেখায়।
এই রাস্তায় গেলে একটু পর ফিরে আসতে হবে, এখান দিয়ে একটু উপরে উঠলে তারপর নেভী এলাকা, স্থানীয় লোক ছাড়া অন্যদের উঠা নিষেধ। ছবি তোলাও নিষেধ। বড় কথা হলো ওখানকার যে কোন সেনা সদস্য রাফ আচরণ করতে পারে।
জেলা প্রশাসকের বাংলো থেকে একটু সামনে একটা সাইনবোর্ড পাবেন ঠিক এরকম। লেখা থাকবে হিলটপ সার্কিট হাউস। ওখান দিয়ে উঠবেন।
যাক আমি উঠছি, ঢালু রাস্তায় একজন বাইকে চড়ে নামছে।
কুয়াশার জন্য ল্যান্ডস্ক্যাপটা ঠিকমত আসছে না।
আরেকটু উপরে উঠলাম, ডান দিকে তাকিয়ে দেখুন তো কেমন . .
শ্রমের তুলনায় মাইনেটা ওদের খুবই কম। আল্লাহ ওদের ভাল রাখুন।
কীসের সৌধ এটা?
আব্বু, কেমন আছো?
ফিরে এলাম ইদ্রিস মামার বাসায়, ছেলে মানুষ একা তো, একটু এলোমেলো তো থাকবেই।
বিকেলে আবার বীচে যাচ্ছি.
বালুর উপর টেনে চলতে চলতে পা আমার যায় যায় . . .
এখনো অনেকে ঘোড়ায় চড়ছে, আমার আর উঠা হলো না।
সূর্যাস্ত দেখতে আম জনতার ভীড়
স্পীডবোটে উঠলাম।
মার্সিডিজ যেমন ঝাঁকি না খাওয়ার পরিবহন আর এটা হলো সুলভে ঝাঁকি খাওয়ার ব্যবস্থা। কোমড়ে কয়েকটা থেকান খেয়ে শখ মিটে গেল। তার চেয়ে তো আমাদের গেরামের গরুর গাড়ীতে চড়তেও আরো বেশি মজা পেতাম। (ভাববেন না যে এই ছবিতে আমি আছি)
সূর্যাস্তের দৃশ্য।
এটা কিন্তু আমার হাতেই তোলা ছবি।
জানি না আপনাদের কেমন লাগবে। তবে আমার কাছে ভাল লেগেছে।
এখানে অনৃষ্ঠান হচ্ছে। এ,বি ফ্যাশন লিমিটেড এর পক্ষ থেকে।
পায়ে হেটে দশ মিনিটে মেলায় পৌঁছলাম।
ভাল লাগলো আর্টগুলো, অভিজ্ঞ হাতে আঁকা মনে হয়।
প্রবেশ পথ . .
ফোয়ারা . .
পুতুল নাচ দেখানো হচ্ছে, আমার অবশ্য এই ব্যাপারে কোন আগ্রহ ছিল না।
ভারত থেকে আসা ছয় আঙ্গুল না ছয় পা কি জানি বলল, ফটো তোলা নিষেধ তাই আমিও বললাম ফটো তুলতে না দিলে দেখারও দরকার নাই।
১০ এর মধ্যে মাত্র দুইটা লাগাইতে পারছি, হে হে। শুটার হইলে দেশের মুখ উজ্জল খরতাম আর কি!
মিছিলে শুনতাম।
অমুকের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে . . ভাবতাম, এতো জুতা পাওয়া যাবে কোথায়? এখানে এসে দেখলাম . . . নাহ একটু সস্তা-ই আছে...।
চাঁদের সাথে কথা বলে তারপর গেলাম ঘুমাতে।
আরো অনেক ছবি আপলোড করা গেল না।
পরবর্তী পর্ব সেন্ট মার্টিন। আশা করি আরো মজাদার করে উপস্থাপন করতে পারব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।