প্রথমত আমি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি টু্রিজমের উপর কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। এ ব্যাপারে কেউ সাহায্য করলে চির কৃতার্থ থাকব। http://www.facebook.com/saintmartinbangladesh
দ্বিতীয় পর্বের অনেকদিন পর তৃতীয় পর্ব দিচ্ছি।
আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
সকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস থেকে বের হলাম। এখানে রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা ঘূর্ণিঝড় হলে কী করতে হবে তার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
রিক্সায় ২৫ মিনিটে টেকনাফ বীচে, ওয়াও! ওয়ান্ডারফুল সী বীচ! এই বীচটি আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগল। কিন্তু সাধারণত ভিজিটরদের ১০% ও এখানে আসে না।
সাড়ি সাড়ি নৌকা।
কুয়াশা না থাকলে দৃশ্যটি আরো সুন্দর হতো।
কাছে গেলাম।
এতো সুন্দর একটা বীচ, নীরব পরিবেশ। আর ট্যুরিস্ট আমি ছাড়া এই কজন।
বেড়াতে গেলে নীরব আর স্বস্তিকর আনন্দের জন্য অবশ্যই যাবেন এখানে।
ভদ্রলোক বললেন, মাছের একটা ছবি তুলুন।
ওফ! যা সুন্দর! আমার জার্নি সার্থক হলো এখানে এসে।
এখানকার ডাবগুলোও ভাল।
অত:পর ফিরে আসলাম। ফিরে আসার সময় চলন্ত রিক্সা থেকে পেছনে ঘুরে একটা স্ন্যাপ নিলাম।
অনুষ্ঠানে এসে দেখি মন্ত্রী মহোদয় আব্দুর রাজ্জাক সাহেব আগমণ করেছেন। আপনাদের দেখাব বলেই না ছবিটা তুললাম। না হলে আমার কাউকে দেখার তেমন আগ্রহ নেই।
টেকনাফ বাস স্ট্যান্ডের সামনে সোনালী আশ প্রস্ততকরণ।
বাসে উঠলাম।
কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া ৮০ টাকা।
এরপর থেকে ছবিগুলো বাস থেকেই তোলা।
নাফ নদী, বাস থেকে তাও কুয়াশই ছবি তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল।
টেকনাফ বন্দর।
চলন্ত বাস তাই এই ছবিটা ঝাপসা।
ওয়াসিম আকরামের কথা মনে পড়ল। তিনি বলেছিলেন, "দেখলাম ধানের ক্ষেতেও ক্রিকেট খেলা হচ্ছে, এটা কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য উন্নতি। "
নাফ থেকে আসা পানি এখানে আটকে রাখা হয় তারপর পানি শুকিয়ে গেলে তা হয় লবণে অত:পর মেশিনে রিফাইন আর প্যাকেটিং।
এখানের তেতুলগুলো খুব বড়। মাউথওয়াটারিং হয় আর কি!
(বলছেন) আমার ছবি দিয়ে কী করবেন?
অত:পর আড়াই ঘন্টার মতো লেগে গেল কক্সবাজার আসতে আসতে।
সিএনজিতে করে যাচ্ছি ৮ কিলো দূরে হিমছড়িতে। বা দিকে ছোট পাহাড় আর ডান দিকে সমুদ্র।
স্পটের প্রবেশমুখ।
সী ভি্উ এর জন্য উপরে উঠতে হবে। প্রবেশমূল্য বিশ টাকা।
আহ! যা কষ্ট! ২০ টাকা দিলাম সাথে আরো ৫০০ টাকার কষ্ট।
অত:পর উপরে উঠলাম।
বিকাল তিনটাতেও এমন কুয়াশা। না হলে সুন্দর কিছু ল্যান্ডস্ক্যাপ নেয়া যেত।
একটা সিলেটি পোলা।
আমার কিন্তু মোটেও মন চাইল না এমন রিস্ক নিয়ে ছবি তুলতে।
চুড়ার উপর ছোট একটি বিল্ডিং এর ছাদের উপর থেকে।
ছাদের উপর থেকে।
নিচে নেমে এলাম। ছোট একটি ঝর্ণা আছে।
আমি একা তাই ছবি তোলা হলো না।
হিমছড়ি দেখা শেষ। ইনানী যাওয়ার গাড়ি পাচ্ছিলাম না। এবার ইনানীর পথে।
২০০৯ এর শেষ সূর্য।
গাড়ি থেকে একজন নেমে গেল আর তাই স্ন্যাপটি নিতে পারলাম।
সূর্যাস্তের ১৫ মিনিট পর পৌঁছলাম বীচে। বীচে ঢুকতেই আছে এমন মার্কেট।
ছোট্ট একটা সাঁকো পার হয়ে।
যাক বাঁচা গেল স্ন্যাপটি নিতে পারলাম।
ইনানী বীচের বৈশিষ্ট এটাই । এখানে আছে কিছু প্রবাল।
যারা নীরব আর কোলাহল মুক্ত আনন্দ পেতে চান তাদের জ্ন্য এই হোটেল।
সীভিউ এর জন্য চমৎকার ব্যবস্থাপনা। তবে সে জন্য গুণতেও হবে বেশি।
পার রুম ৩০০০।
অত:পর ফিরে আসছি অন্ধকারে।
কলাতলী মোড়ে এসে নামলাম সি,এন,জি থেকে।
এন টি ভি তে লাইভ কনসার্ট হচ্ছে।
বন্ধুয়ারে কর তোমার মনে যাহা লয়।
স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে টেলিকাস্ট।
স্টেজ।
রিংকু।
এরকম বড় বড় স্পীকার (কান ফেটে যাওয়ার অবস্থা ) ঢাকা থেকে নেওয়া।
মঞ্চের পেছনে ভক্তরা ছুটল ফটোগ্রাফ নিতে।
সিটিসেল টাওয়ারের উপর থেকে।
জনসমুদ্রের একাংশ।
অত:পর খেয়ে দেয়ে তিন দিনের সফল ভ্রমণের পরিসমাপ্তি। অতি অল্প সময়ে অনেক কিছু কভার করলাম।
ফিরতি বাসে শেষ স্ন্যাপ।
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।