প্রথমত আমি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি টু্রিজমের উপর কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। এ ব্যাপারে কেউ সাহায্য করলে চির কৃতার্থ থাকব। http://www.facebook.com/saintmartinbangladesh
প্রথম পর্ব
রাতের পূর্ণিমা, কক্সবাজারে যারা তখন হানিমুনে তারা কিন্তু জোশ একটা মজা পেয়েছেন।
যাই হোক সকাল বেলা বাসে চড়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এলাম টেকনাফ।
উদ্দেশ্য সেন্ট মার্টিন।
বাস থেকে নেমে যা দেখলাম তা হলো এই। ভাগ্যিস জ্যামের কারণে এই ছবিটা তুলতে পেরেছিলাম।
এই গাড়িগুলোর নাম চান্দের গাড়ি। সারা বছর কোন কারণ ছাড়া এভাবেই যাত্রী নেওয়া হয়।
ভাল করে চিনে রাখুন। কুতুবদিয়া জাহাজের টেকনাফের ইনচার্জ আজিজ মামা।
খুব ভাল আর নরম মেজাজের মানুষ।
ক্রীস্টমাসের ছুটিতে এমন লাইন ধরেই আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে জাহাজে উঠতে হয়েছে সবাইকে।
জাহাজের ডান দিক
জাহাজের বাম দিক।
নাফ নদী ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলা সত্যিই খুব সুন্দর।
পাশের কিছু জাহাজ।
কাজল (সবসময় আধ ঘন্টা লেট করেন উনি) আর অপরটির নাম এসটি খিজির।
হঠাৎ শব্দ শুনে ফিরে এলাম জাহাজে, ওয়াও, দেখে একটু খারাপ লাগলো,
যদিও গালি-গালাজটা চলছিল ইংরেজী ভাষায়।
জাহাজের একজন বললেন, রাতের বেলা ঘুমালেও স্বপ্ন দেখি কেউ এসে বলছে, আমাকে সিট দেন আমি সিট পাইনি, বসার ব্যবস্থা করে দেন।
মজার ব্যাপার হলো, অনেক সময় দেখেছি এরকম সিট নিয়ে ঝগড়া হয়, কিন্তু জাহাজ ছাড়ার পর সবাই গিয়ে ডেকে দাঁড়ায়, সব সিট খালি পড়ে থাকে। কারণ, সবাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে যায়। ভিতরে বসে থাকলে তো এত কষ্ট করে যাবে কেন?
জাহাজের রয়েল লাউঞ্জ। দৌড়ের উপর তোলা ছবি।
স্টাফদের কিচেন + ডাইনিং রুম।
ওরা ৩৬ জন এসেছিল একটা স্কুল থেকে।
জাহাজের সম্মুখভাগ - সমুদ্রের বুক চিড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বলুন তো কীভাবে তুললাম এই ছবিটা?
দ্বীপটি কাছে ভেসে এলো। না, দ্বীপটি দৃষ্টির কাছাকাছি চলে এলো।
জাহাজ থেকে নামার আগে বাম দিকে।
জাহাজ থেকে নেমে সোজা রাস্তায় না গিয়ে ডানে গেলাম। উদ্দেশ্য বীচ দিয়ে হেটে হেটে ছবি তুলতে তুলতে যাব।
ওদের হাসির শব্দ অনেক দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল।
হোটেল ব্লু মেরিনের পশ্চিম পাশে এটা। যারা একটু নীরবে থাকতে চান তারা এখানে থাকতে পারেন।
কেননা, অন্যান্য স্থানে লোকজনের ভীড় অনেক বেশী হয়ে থাকে। আরেকটা সুবিধা হলো এখানে প্রবাল পাথর নেই। তাই আপনার পা নিরাপদ আর সুরক্ষিত থাকার সম্ভাবনা।
এখান থেকে ভিউটাও অনেক সুন্দর। তবে এদিক দিয়ে গোসলের সময় বেশী দূর যাওয়া যায় না।
তিনটা ক্যাটাগরী আছে। ঘন্টায় ১০০, ১৫০, ২০০। আমি অবশ্য শুধু দাম জিজ্ঞেস করেছি যেহেতু বীচে নামবো না তাই দামাদামি না করাটাই স্বাভাবিক।
হেটে একটু সামনে গেলাম। শুধু প্রবাল আর প্রবাল।
পুরো ভ্রমণেই আমি একা ছিলাম। আমার ফডু তোলার লোক নাই, ওফ, কী যে কষ্ট।
আরোকটু হেটে গেলাম শুটকী মার্কেটে।
শূটকী কেনার জন্য আমি সবসময় ইসমাঈল মামার সাহায্য নেই।
উনি স্থানীয় তাই শুটকীর মান, মজা আর মূল্য বুঝেন।
আমার মনে হয় শুধু সেন্ট মার্টিনেই কয়েক লাখ নারিকেল আছে।
ট্যুরিস্ট গেলেই দাম বেশী। যাই হোক ইটস গুড ফর স্টম্যাক। দাম ১৫ - ২০।
হোটেল অবকাশের সামনে এই বীচটাই আসল বীচ, এখানেই আনাগোনা লোকজনের।
এইটাকে জানি কি বলে? নামটা মনে পড়তেছে না। অপস!
সেইলর মুন রিসোর্টে ইসমাঈল মামা। আমাদের গেস্টদের আপ্যায়ন করার জন্য আছেন উনি।
তারপর এলাম সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টে। কামরুল মামা ভালই আদর যত্ন করে খাওয়ালেন।
কাঠের সিড়ি বেয়ে দোতলায় উঠবেন। সমুদ্র দেখবেন আর খাওয়া-দাওয়া করবেন।
ডান দিকে তাকালে। তবে এখন ভাটার সময় একটু কম সুন্দর দেখাবে।
এটা হলো উডেন কটেজ।
ভাড়া নিবে ১২০০-১৫০০।
ভিতরটা এরকম।
এই জিনিসটা আমার কাছে খুব মজার।
বৃক্ষের সবুজ আর আকাশের নীল।
হোটেল নীল দিগন্ত এর প্রবেশ মুখ।
রেস্টুরেন্ট।
ব্রিক- ভাড়া আমার মনে নেই তবে ২ হাজার এর নিচে এক টাকাও না।
কক্স এর তুলনায় এখানে হোটেল ভাড়া অনেক বেশী। আর সেন্ট মার্টিনে সর্বনিম্ন হোটেল ভাড়া ১২০০-১৫০০। আর যদি শুধু বন্ধু বান্ধব হয় তবে ডরমেটরী আছে ওখানে ৪-৫ শ টাকা লাগতে পারে জনপ্রতি।
তবে অবশ্যই দামাদামি আর যাচাই বাছাই করে যাবেন।
ভিতরে এমন।
জার্নি শেষ। ফিরে আসছে সবাই।
হোটেল ব্লু মেরিন।
সেন্ট মার্টিনের সবচেয়ে ভাল হোটেল। চড়া মুল্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এই হোটেলের ভাড়াটা আমি নির্দিস্ট করে বলতে পারছি না।
ব্লু মেরিনে যারা থাকবেন তাদের সোনামণিদের জন্য এই ব্যবস্থা। অবশ্য নিজেও চড়তে পারেন কেউ তে আর নিষেধ করবে না।
ব্লু মেরিন থেকে বেরিয়ে ডান পাশে যাব। সেন্ট মার্টিনে প্রবেশের প্রধান রাস্তায়।
এই হল প্রবেশ পথ।
আশ- পাশে দোকানে কি বিক্রি হচ্ছে একটু দেখে নেয়া যাক।
সুন্দর হাত পাখা।
দাম চাইবে ৫০ বলবেন ২৫ থেকে ৩০।
বার্মিজ আচার, সত্যিই মজাদার, মনে হলে জিভে পানি আসে এখনো।
বাম পাশে উপরে মিস সোপ, পারলে এক ডজন কিনে নিয়ে আসবেন। প্রতি পিস ২৫ টাকা। আমি এই বার্মিজ সোপটা অন্যান্য দেশের ১০০ টাকা মুল্যের সাবানের মত কার্যকর।
ক্যাপ, মজার ব্যাপার হলো জাহাজে অনেক বয়স্ক লোককেও দেখেছি এই ক্যাপ পড়তে।
ছেড়াদ্বীপ যেতে চাইলে এই স্পীডবোটে। জনপ্রতি ১০০ টাকা। সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিট।
জাহাজে এস উঠলাম।
সারেং এর সাথে একটু মুলাকাত করে আসি।
কোথা থেকে একটা রকেট এসে উড়ে গেল। আকাশের বুকে রেখে গেল তার পদচিহ্ন।
রাতে এসে পৌঁছলাম টেকনাফ পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে। থাকা খাওয়ার চরম সুবিধা, ফোমের বিছনায় ক্লান্তি দূর করায় পরিবেশ অধিদপ্তর তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম।
একটা সত্যি আমি যেখানেই যাই আমাক কখনো হোটেলে থাকতে হয় না, আত্মীয় না হয় বন্ধু বান্ধব একটা ব্যবস্থা হয়ে যায় সব জায়গাতেই।
পরবর্তী পর্ব টেকনাফ বীচ, হিমছড়ি, ইনানী আরো . . .।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।