আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারেন নি আর আপনারা কী তার চেয়ে শক্তিশালী? বঙ্গবন্ধু পারেন নি আপনারাও পারবেন না

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর বর বলেছেন, “যুদ্ধাপরাধ আর মানবাধিকারের বিরম্নদ্ধে অপরাধ এক বিষয় নয়। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারেন নি আর আপনারা কী তার চেয়ে শক্তিশালী। আপনারাও এ বিচার করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয়ই জামায়াতের নিকট থেকে টাকা নেন। তাদের বিচার আপনাদের দ্বারা সম্ভব নয়।

” তিনি বলেন, “একজন বাবার আরেক জন স্বামীর তালস্নুক বানিয়েছেন, এটা জনগণের তাল্লুক। এভাবে কারো তাল্লুক বানালে অতীতে ( দু’নেতার বঙ্গবন্ধু ও জিয়া) যে পরিণতি হয়েছে আপনাদেরও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে। ” সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন- কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির উপদেষ্টা ড. জাফরম্নলস্নাহ চৌধুরী, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, মিসেস তানিয়া ফেরদৌস, কবি রোখসানা আহমেদ, সাবেক এমপি অ্যডভোকেট হোসনে আরা, আনোয়ার হোসেন ও শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন। আ স ম আবদুর রব বলেন, “নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে।

নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও সরকার তা না করে সংবিধান লঙ্গন করেছে। ” তিনি বলেন, “দেশে মসজিদ, গির্জা বা মন্দির নিয়ে কোনো বিরোধ নেই অথচ দুই নেত্রী দেশের জনগণকে অশামিত্মর মধ্যে রেখেছে। ” কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, “আওয়ামী লীগ চালায় বামপন্থীরা, মন্ত্রিপরিষদ চালায় বামপন্থীরা কিন্তু সরকার চালায় জাসদ। সরকারের ১৫ লাখ কর্মচারীর মধ্যে ৭ লাখ জাসদ কর্মী। ” তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জে সেলিনা হায়াৎ আইভী গণমাধ্যম শক্তিশালী হওয়ায় বিজয়ী হয়েছেন।

এ নির্বাচনে সরকার সেনা মোতায়েন না করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সিইসি শামসুল হক পদত্যাগ করলে তাকে ধন্যবাদ জানাতাম। কিন্তু দেশের অনেক মন্ত্রীরা এমন চরম লজ্জাহীন যে, বাড়ির কাজে বুয়া ঘৃণা করে চলে গেলেও তারা পদত্যাগ করবে না। ” বঙ্গবীর বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতারা কে কোথায় যুদ্ধ করেছেন? নাম বলেন? আওয়ামী লীগের নেতারা মুক্তিযুদ্ধের নামে দেশটাকে লুট-পাট করে খাচ্ছে। ” তিনি বলেন, “আমি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র নিয়েছি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পরে কার কাছে অস্ত্র জমা দিবো, আর ট্রেনিং নিয়েছি ভারত থেকে তাহলে আমাকে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিবে কে? এ জন্য আমার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেই।

” মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমি যে ঘরে আছি সেখানে ভাল নেই। মনে হয় এটা আমার ঘর নয়। এ ঘরের মানুষগুলো ভাল মনের বলে মনে হয় না। ” তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী লীগ বা বিএনপিকে ভোট দেয় নি, তারা যোগ্য ও ভাল মানুষকে নির্বাচিত করেছে। ” মান্না বলেন, “সত্যিকারের সেক্যুলার-গণতান্ত্রিক ও কল্যাণরাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলাম কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেক বিলম্ব হচ্ছে।

” Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.