আমার চোখে বর্তমান...
চিত্র ১. কয়েকদিন আগে কোন এক টক শোতে বিএনপির একজন প্রবীন নেতা বঙ্গবন্ধুকে সম্মোধন করছিলেন ‘জনাব মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান’।
চিত্র ২. আমার অনেক বন্ধু মনে করেন বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে গিয়ে বিতর্কিত হয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল।
চিত্র ৩. আমার মনে আছে প্রথমবার যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসল, তখন যবকিছুই ছিল বঙ্গবন্ধুর নামে, সবই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর নামের আগে তখন হাজারো বিশেষন যুক্ত থাকত।
আমার কাছে বঙ্গবন্ধুকে শুধু বঙ্গবন্ধু নামেই সবচেয়ে ভাল লাগে।
মনে হয় এটাই তার শ্রেষ্ঠ পদবী। আর কিছুর দরকার নাই। কোন কোন মানুষ ভাষার যে প্রকাশ করার সক্ষমতা তার চেয়েও বড় হয়ে উঠেন। তখন তার জন্য একান্ত নতুন শব্দের সৃষ্টি করতে হয়। আর অন্য কোন শব্দেই মনে হয় তাকে ঠিক প্রকাশ করা সম্ভব হয় না।
একই সংগে বঙ্গবন্ধুকে যদি কেউ বঙ্গবন্ধু বলে গর্ব করতে না পারে, তো তার প্রতি আমার সিমপ্যাথি রইল। তার মত দুর্ভাগা মানুষ হয়তো বেশী জন্মায়নি।
বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানানো কখনোই একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় নয়। প্রতিটি বাংলাদেশীর জন্য আল্লার একেবারে আর্শীবাদ হয়ে তিনি জন্মেছিলেন। এতে কারো কোন সন্দেহ থাকা দুর্ভাগ্যজনক।
নিরপেক্ষতার দোহাই দিয়েও বঙ্গবন্ধুকে একঘরে করা যাবে না। আসলেই কি তাকে স্বীকার না করলে নিরপেক্ষতা প্রমানিত হয়? আমার মনে হয় না। বরং মনে হয় তাদেরকেই মানুষ বেশী সন্দেহ করবে। র্দীঘ মেয়াদে তাদের নিয়েই মানুষ বেশী আস্থাহীনতায় ভুগবে।
বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করবে তারা সবাই কেবল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেরই হবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কারো বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আদর্শগত বা প্রক্রিয়াগত অনেক ব্যবধান থাকতেই পারে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন ব্যবধান একদমই থাকতে পারেনা। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিতো বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানিয়ে গর্বিত হবেই।
জয় বাংলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।