দুনিয়াতে শুধু দুই প্রকার মানুষ আছে। একদল ভাল, একদল খারাপ। এর বাইরে আর কোন বিভেদ নাই। ধর্মালম্বী, বিশেষ করে হিন্দু-মুশলিমরা সবসময় মানুষের আগে ধর্মকে প্রায়োরিটি দিতে ভালবাসেন। ধর্মকেই সকল কিছুর উৎস ভাবেন।
কিন্তু তারা ভেবে দেখেন না, ধর্মের জন্য মানুষ নাকি মানুষের জন্য ধর্ম । একবার ধর্ম গেল বলে রব উঠলেই হলো, চোখের ঘুম হারাম হয়ে যাবে ধর্মপন্থীদের। যদিও ধর্মীয় নিয়মকানুন তারা কতটা মানেন, সেই প্রশ্ন থেকেই যায় ! ইসলাম, হিন্দু, বৈদ্ধ, খৃষ্ট, তাও, কনফুসিয়ান, শিন্টো, ইহুদিসহ সকল ধর্মের মূল কথা শান্তি হলেও কার্যত আজও স্থায়ী শান্তি আনা সম্ভব হয়নি পৃথিবীর কোথাও। শুধুই সংঘাত, সংঘাত এবং সংঘাত সৃষ্টি করেছে এই ধর্ম। ভারত-পাকিস্তান থেকে শুরু করে ফিলিস্তিন-ইসরাইল-লেবানন, সার্বিয়া-বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কায় সিংহলী-তামিলদের মাঝে বিভেদ ছাড়া কোন সুষ্ঠু সমাধানই আনতে পারেনি এই ধর্ম নামক মন্ত্রটি।
সব জায়গায় ধর্মের নামে শুধু রক্তের হলিখেলা চলে । রক্ত নি:শেষ হয়, তাজা প্রানগুলো স্বর্গ-নরকে যায় , কিন্তু শান্তি অধরায় থেকে যায়। এই হলিখেলার শেষ কোথায় ?
বাংলাদেশের কথাই চিন্তা করুন, দেশে ইসলাম ধর্মপন্থী রাজনৈতিক দল চল্লিশের অধিক। স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠিত হয়েছে আরো কয়েক হাজার ধর্মীয় সংগঠন। তারা সকলেই দেশে ইসলামী আইন চালুর দাবিতে কর্মসূচি দেন।
কুরআন অবমাননা, মহানবী(সা'র প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদ প্রভৃতি ইস্যুতে তারা প্রতিবাদ করে থাকেন । কিন্তু, দেশের সামাজিক উন্নয়নে তার কতটুকু সময় দেন কিংবা কর্মসূচী পালন করেন ?
মাদক গ্রহন ইসলামে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলামী বিগত চল্লিশ বছরে এ নিয়ে কতটি কর্মসূচী দিয়েছে ? এ নিয়ে কোন কর্মসূচিই দেয়নি। শুধুই বিধর্মী ও ভারতের প্রতি বিদ্বেসমূলক কর্মসূচীই তাদের নিতে দেখা গেছে। নিরক্ষরতা দূরীকরন, বনায়ন প্রভৃতি সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি দেয়া কি ইসলাম কিংবা হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ আছে ?
আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে ভেজে খেতে চায়, বিএনপি জিয়াকে আর ধর্মপন্থীরা খেতে চায় ধর্মকে ।
শেখ মুজিবকে ভুল বলা যায়, জিয়াকেও ভুল বলা যায় কিন্তু ধর্মীয় নীতিকে কখনও ভুল বলা যায় না ! পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত রকমের এবং অস্বাভাবিক শক্তিশালী অস্ত্র এই ধর্ম ! এই অস্ত্রের বুলেট কখনও শেষ হবে না ! কারন এটি আল্লাহর তৈরি ! আল্লাহ অসীম, তিনিই সর্বশক্তিমান ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।